Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • চেয়ারম্যানের সামনে ইঞ্জিনিয়ারকে কিলঘুষি! মারধরের অভিযোগ উঠল শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে
জেলা

চেয়ারম্যানের সামনে ইঞ্জিনিয়ারকে কিলঘুষি! মারধরের অভিযোগ উঠল শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে

councillor and engineer
Email :6

নদিয়ার কৃষ্ণনগর পৌরসভায় ফের এক সরকারি আধিকারিককে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার (TMC Councillor) বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কৃষ্ণনগরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুমিত ঘোষ পৌরসভার মধ্যেই পিডব্লিউডি বিভাগের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুজিত পালকে বেধড়ক মারধর করেন। এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এবং উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়।

জানা গেছে, শনিবার সকালে কৃষ্ণনগর পৌরসভার চেয়ারম্যান রীতা দাস পিচ ঢালাই ও পেপার ব্লক বসানোর কাজের হিসেব সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছিলেন। সেই নির্দেশ মতোই সুজিতবাবু হিসেব তৈরির কাজ করছিলেন। তখনই ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুমিত ঘোষ এসে অভিযোগ করেন, কেন তাঁর ওয়ার্ডে ‘এস্টিমেটেড অ্যামাউন্ট’ লেখা হয়েছে। সুজিতবাবু তাঁকে জানান, এটি পুরো বিভাগীয় স্তরে নির্ধারিত হয়েছে, তিনি শুধু নির্দেশ পালন করছেন (TMC Councillor)।

কিন্তু এই কথা শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কাউন্সিলর সুমিত ঘোষ (TMC Councillor)। অভিযোগ, হঠাৎ করেই সুজিতবাবুর কলার ধরে মারধর শুরু করেন তিনি। কিল, ঘুষি, চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। ঘটনার আকস্মিকতায় পৌরসভা চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। উপস্থিত কর্মীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান রীতা দাস নিজে এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর কৃষ্ণনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।

আক্রান্ত ইঞ্জিনিয়ার সুজিত পাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের (TMC Councillor) করেছেন। তিনি বলেন, “চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমি হিসেব তৈরির কাজ করছিলাম। হঠাৎ করে কাউন্সিলর এসে চড়-ঘুষি মারতে শুরু করেন। মারধর করেন আমার উপর।”

চেয়ারম্যান রীতা দাস বলেন, “এটি একেবারেই দুঃখজনক। আমি আগেও বলেছি, কিছু কাউন্সিলর (TMC Councillor) আমার সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন। পৌরসভার স্বাভাবিক কাজ বাধা পাচ্ছে। তাই আমি ইতিমধ্যেই নিজের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য থানার আইসির কাছে আবেদন করেছি।”

অন্যদিকে, অভিযুক্ত কাউন্সিলর সুমিত ঘোষ (TMC Councillor)  দাবি করেছেন, “অনেক কাউন্সিলর হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পিচ ঢালাইয়ের হিসাব নিতে গিয়েছিলাম। সুজিতবাবু বলেন, তিনি আমাকে কোনও হিসাব দেবেন না, শুধু চেয়ারম্যানকেই দেবেন। এরপর ধাক্কা দেন, তখনই বাদানুবাদ হয়েছে।”

এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কৃষ্ণনগর থানার পুলিশ। সরকারি কর্মীর উপর হামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে প্রশাসনের তরফে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts