বন্যায় ভেসে গিয়েছিল ঘর, হারিয়েছিলেন ফসল, ভিটেমাটি। দু’মাস ধরে জলবন্দি হয়ে মানবেতর অবস্থায় ছিলেন মালদার ভূতনির মানুষজন। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকারের (TMC) পক্ষ থেকে বরাদ্দ হয়েছিল খিচুড়ি, নৌকা ও স্যানিটাইজেশনের জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। কিন্তু অভিযোগ, সেই টাকাই লুঠ করে নেওয়া হয়েছে উত্তর চণ্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে।
তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের প্রধান অর্চনা মণ্ডল ও নির্বাহী সহায়ক বাসুদেব মণ্ডলের বিরুদ্ধে তৃণমূলেরই (TMC) ১৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন কংগ্রেস ও বিজেপি সদস্যরাও। অভিযোগ, সামান্য খরচ করে দফায় দফায় ভুয়ো বিল বানিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এই অভিযোগ জানানো হয়েছে (TMC) জেলা শাসক, মহকুমা শাসক ও বিডিওকে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েত প্রধান, নির্বাহী সহায়ক ও ছয়টি ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধেও হাইকোর্টে মামলা হয়েছে।
বিভিন্ন প্রকল্প—১৫তম অর্থ কমিশন, স্বচ্ছ ভারত মিশন ইত্যাদি থেকে যে টাকা বন্যা ত্রাণের জন্য এসেছিল, সেই টাকাই ভুয়ো বিলের মাধ্যমে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
তৃণমূলের (TMC) উপপ্রধান নাসিম শেখ দাবি করেন, “বন্যার সময় ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছিল। খরচ হয়েছে মাত্র ৬০ লক্ষ টাকা। বাকি ৪৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁকে আটকাতে গেলে হুমকি দেন। শেষে আমরা হাইকোর্টে যাই।”
অন্যদিকে, অভিযুক্ত নির্বাহী সহায়ক (TMC) বাসুদেব মণ্ডল বলেন, “সব কাজ জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মতো হয়েছে। অভিযোগ ভিত্তিহীন।”
এই ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। তদন্ত চলছে।