উত্তর ২৪ পরগনার উলা কালসারা কাদরিয়া হাই মাদ্রাসায় একযোগে তিনটি বাঘের (Tigers) ঘোরাফেরা! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন—সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই রীতিমতো তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায় (Tigers) । অভিভাবকদের কানে খবর পৌঁছতেই সন্তানদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দেন অনেকেই। কার্যত ফাঁকা হয়ে যায় স্কুল চত্বর। আতঙ্কে বাতাস থমথমে হয়ে ওঠে গোটা অঞ্চল জুড়ে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিয়োয় দেখা যায়, একের পর এক তিনটি বাঘ স্কুলের ফাঁকা বারান্দা দিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে (Tigers) । চিত্র দেখে চমকে ওঠেন সকলে। কিন্তু খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জানা যায়, বাস্তবে এমন কোনও বাঘের অস্তিত্ব নেই—এই গোটা দৃশ্যই আসলে তৈরি হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ AI-এর সাহায্যে!
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মণিরুল মল্লিক জানান, “এই ভিডিয়োটি তৈরি করেছেন বিদ্যালয়ের ভূগোল সহ-শিক্ষক মোহাম্মদ ইয়ামিন মল্লিক (Tigers) । কী উদ্দেশ্যে তিনি ভিডিয়োটি বানিয়েছেন, সেটি সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার নয়। তবে অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতেই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হয় এবং শিক্ষককে সঙ্গে সঙ্গে ভিডিওটি মুছে ফেলতে বলা হয়েছে।”
অন্যদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ ইয়ামিন মল্লিক এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে জানান, “আমি আসলে শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে AI-এর কার্যকারিতা বোঝাতে চেয়েছিলাম। ছাত্রছাত্রীদের বোঝাতে চেয়েছিলাম, যা কিছু তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে, তা সব সময় সত্যি হয় না (Tigers) । কিন্তু আমার এই প্রচেষ্টাই উল্টো ফল দিয়েছে—আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”
শিক্ষক আরও জানান, “বিদ্যালয়ে কোনও বাঘ নেই, নেই কোনও প্রাণীর উপদ্রবও। ভিডিয়োটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক এবং শিক্ষার উদ্দেশ্যেই বানানো হয়েছিল।”
তবে এই ঘটনা সামনে আসতেই এলাকায় শুরু হয়ে গিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ বলছেন, শিক্ষার নামে এত বড় ভয় ধরানো ঠিক হয়নি, আবার কেউ বলছেন—AI নিয়ে এমন সচেতনতামূলক চমকপ্রদ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়, যদিও আরও সাবধানতা প্রয়োজন ছিল।
এই ঘটনার পর এখন প্রশ্ন উঠছে, AI প্রযুক্তি শিক্ষাক্ষেত্রে কতটা দায়িত্বের সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত? অপ্রস্তুত শিক্ষাপ্রকল্প কি উল্টে আতঙ্ক তৈরি করছে?