বীরভূমের রামপুরহাটে (Rampurhat) সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী খুনের ঘটনায় আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা। বৃহস্পতিবার ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল স্কুল চত্বরে (Rampurhat) । সকাল থেকেই স্কুলের সামনে জড়ো হতে থাকেন অভিভাবক আর স্থানীয় মানুষজন। সবাই মিলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
অভিযোগ উঠেছে, স্কুলে ঢুকতেই প্রধান শিক্ষককে ঘিরে ধরে ক্ষোভ উগরে দেন অভিভাবকেরা (Rampurhat) । এমনকি তাঁকে মারধরের অভিযোগও রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পৌঁছায়। প্রধান শিক্ষককে পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় ক্ষিপ্ত জনতা তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এদিকে স্থানীয়রা ইতিমধ্যেই রাস্তা অবরোধ করে দেন। ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ (Rampurhat) , অভিযুক্ত ভৌতবিজ্ঞান শিক্ষককে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন প্রধান শিক্ষক। অভিভাবকদের দাবি, এভাবে সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে তাঁদের ভয় লাগছে। এক অভিভাবক বলেন, “আমাদের ছেলেমেয়েরা আগেই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল। কিন্তু স্কুল কিছু ব্যবস্থা নেয়নি।”
ঘটনার সূত্রপাত গত ২৮ অগস্ট। সেদিন টিউশনে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী। কিন্তু সে আর ফেরেনি। পরিবারের তরফে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পরে জানা যায়, স্কুলেরই ভৌতবিজ্ঞান শিক্ষক তাঁকে অপহরণ করেছে। আরও ভয়ঙ্কর অভিযোগ, ছাত্রীকে খুন করে দেহ কেটে ফেলে ওই শিক্ষক। এই খবর পুলিশকে জানানো হলে রামপুরহাট (Rampurhat) থানার পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে ।
পুরো ঘটনায় আতঙ্কে অভিভাবকেরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এখন প্রশ্ন উঠছে, আগে থেকে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ?