বয়সের অঙ্কে ভুল হলে সাধারণত সেটা খাতায়-কলমে হয়। ছেলেবেলায় অঙ্ক না মিললে মাঝেমধ্যেই দেখা যেত বাবা-মেয়ের বয়সের ফারাক এলোমেলো! কিন্তু বাস্তব জীবনে এমন অদ্ভুত ভুল কি সম্ভব? বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলছেন— সম্ভব। আর সেই উদাহরণ তিনি খুঁজে পেয়েছেন উত্তরের একটি বুথে। যেখানে মা-পুত্রের বয়সের ব্যবধান মাত্র ১১ বছর। তাও ছেলের বয়স মায়ের থেকে বেশি (Suvendu Adhikari)!
শনিবার সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে তিনি দাবি করেন, বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভার রামনগর পঞ্চায়েত এলাকার ২৬৪ নম্বর বুথে এমন বিস্ময়কর বয়সের অসামঞ্জস্য ধরা পড়েছে। তাঁর পোস্ট অনুযায়ী, আব্দুল মজিদ শেখ নামের এক ব্যক্তির বয়স ৭৬ বছর। কিন্তু তাঁর মা যছিমন শেখের বয়স ৬৫। অর্থাৎ ছেলে ৭৬, মা ৬৫— বয়সের ফারাক মাত্র ১১ বছর!
শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বক্তব্য, এই ঘটনাই প্রমাণ করে ভোটার তালিকায় ভয়াবহ গরমিল রয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এসআইআর-এর প্রক্রিয়ায় নাকি বিপুল সংখ্যায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা নিজেদের বাবা-মা-ঠাকুমার পরিচয় দিয়ে নাম তুলতে চাইছেন। তাঁর দাবি, আগের সংশোধিত তালিকায় মায়ের নাম থাকলেও ছেলের নাম নেই। অথচ বয়সের হিসাবে ছেলে মায়ের থেকে বড়— যা সাধারণত অসম্ভব।
যদিও এ বিষয়ে পরিবার থেকে ভিন্ন ব্যাখ্যা মিলেছে। সাবির হোসেন জানিয়েছেন, এই “বয়সের গরমিল”-এর নেপথ্যে রয়েছে পারিবারিক ইতিহাস। তাঁর কথায়, দাদুর দুটি বিয়ে হয়েছিল। বাবা প্রথম পক্ষের সন্তান। প্রথম স্ত্রী মারা গেলে দাদু আবার বিয়ে করেন। দ্বিতীয় পক্ষের মা বাবার থেকেও বয়সে ছোট ছিলেন। সেই কারণেই ভোটার তালিকায় এমন বিভ্রাট তৈরি হয়েছে (Suvendu Adhikari)।
রামনগর পঞ্চায়েত প্রধান এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, বয়স সংক্রান্ত যাবতীয় নথি নির্বাচন কমিশনের কাছে আছে, তারাই ঠিক করবেন।
শুভেন্দুর দাবি, এ ধরনের উদাহরণ নাকি এখন রাজ্যের নানা জায়গায় মিলছে। তাঁর কথায়, “কে কাকে বাবা-মা বানাচ্ছে, কে শ্বশুর সাজছে— এসবেরই প্রমাণ মিলছে। এসআইআর শেষ হলে পশ্চিমবঙ্গের প্রকৃত জনবিন্যাস সামনে আসবে।”












