দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে প্রসাদ বিতরণের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এবার পুরী থেকে মহাপ্রসাদ আনার ঘোষণা করলেন রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। জানালেন, রথযাত্রার দিন পুরী থেকে মহাপ্রসাদ আসবে তমলুকের গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মন্দিরে। পাঁচ দিন ধরে সেই প্রসাদ সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) জানান, রথের দিন দুপুর ১২টায় তিনি থাকবেন কলকাতায়। সেখান থেকে তমলুক রওনা দেবেন এবং বিকেল ৩টেয় পুরী থেকে মহাপ্রসাদ এসে পৌঁছাবে (Suvendu Adhikari) তমলুকের গৌরাঙ্গ মন্দিরে। প্রসাদ হিসেবে গজা বা প্যাড়া নয়, আসবে আসল পুরীর প্রসাদ। বিকেল ৪টেয় তিনি থাকবেন মেচেদার ইস্কন রথযাত্রায়।
তবে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) এই ঘোষণায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতা তন্ময় ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, “দেবতা নিয়ে রাজনীতি করার এক অভিনব প্রচেষ্টা চলছে। জগন্নাথ দেবের আরাধনা কোথায় হচ্ছে তা নয়, ভক্তিভাবটাই আসল। দিঘা বা পুরী – স্থান নয়, বিশ্বাসই বড়। এমন দিনে আরেক মন্দির থেকে প্রসাদ এনে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে।”
এরই মাঝে বিতর্ক দানা বাঁধছে হিডকোর অর্থ বরাদ্দ নিয়েও। বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, দিঘার মন্দিরের প্রসাদ বিতরণের জন্য হিডকো ৪২ কোটি টাকা ব্যয় করছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, এটি কি প্রকৃতপক্ষে সরকারি অর্থের সদ্ব্যবহার, নাকি রাজনৈতিক প্রচার?
রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে এবার জগন্নাথদেবের প্রসাদ নিয়ে বাংলার রাজনীতিতে জমজমাট লড়াই। একদিকে রাজ্য সরকারের উদ্যোগ, অন্যদিকে বিরোধীর পাল্টা পদক্ষেপ – সব মিলিয়ে ভক্তি ও রাজনীতির মেলবন্ধনে তৈরি হয়েছে নতুন উত্তাপ।