এসআইআর বিতর্কের আবহে এবার রাজ্য প্রশাসনের একাংশকে ঘিরে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu adhikari)। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকারের অন্দর থেকেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অফিসার তাঁকে গোপনে তথ্য দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, তিনি দাবি করেছেন, ইতিমধ্যেই ১০০-র বেশি WBCS অফিসার এবং ২০-রও বেশি IAS আধিকারিক তাঁকে প্রশাসনের গোপন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছেন।
এদিন শুভেন্দু (Suvendu adhikari) বলেন, “ভোটার তালিকা তৈরির জন্য রাজ্যের মমতা প্রশাসন নির্বাচন কমিশনকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে। BLO-দের বদল করার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু তা তারা পারবে না। এই অবস্থায় কমিশনের পক্ষে নতুন ভোটার তালিকা তৈরি করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। আর তালিকা না হলে ভোটও হবে না।” এরপরই তিনি স্পষ্ট বলেন, “এই পরিস্থিতিতে রাজ্য প্রশাসনের একাংশ যেভাবে সহযোগিতা করছেন, বিশেষ করে যাঁরা আমাকে তথ্য দিচ্ছেন—তাঁদের আমি ধন্যবাদ জানাই।”
শুভেন্দুর (Suvendu adhikari) এমন দাবিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে বিরোধী দলনেতাকে গ্রেফতার করে তাঁর কাছ থেকে সমস্ত তথ্য আদায় করা উচিত। একজন সরকারি অফিসার যদি সরকার বিরোধী গুপ্তচরবৃত্তি করেন, তাহলে তা দেশের আইনত বড় অপরাধ। এর নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া জরুরি।”
এদিকে বিহারে এনআরসি-মতো প্রক্রিয়া অর্থাৎ SIR চালুর পরে, পশ্চিমবঙ্গেও এই নিয়ে আতঙ্ক ও জল্পনা ছড়িয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যেও অগস্ট মাস থেকে SIR চালু করার তোড়জোড় চলছে। বিএলও-দের ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, তৈরি রাখা হয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের।
এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের অজান্তে এক হাজার সরকারি কর্মীকে দিল্লিতে ট্রেনিংয়ে পাঠানো হয়েছে। ডিএমরা খেয়াল রাখছেন না, চোখ-কান খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছি। বাংলায় যারা বাংলা ভাষায় কথা বলে, তাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার হচ্ছে।”
শুভেন্দুর এমন দাবি, যেখানে তিনি প্রশাসনের গোপন সাপোর্ট পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন, তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আরও বড়সড় সংঘাতের ইঙ্গিত মিলছে। বিশেষ করে যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সরকারি কর্মীদের সতর্ক করছেন, সেখানে বিরোধী শিবিরের এমন দাবি এক গভীর দ্বন্দ্বের ছবি তুলে ধরছে।
‘১০০-র বেশি অফিসার আমাকে তথ্য দিচ্ছেন!’ শুভেন্দুর বিস্ফোরক দাবি ঘিরে কাঁপছে রাজ্য প্রশাসন
এসআইআর বিতর্কের আবহে এবার রাজ্য প্রশাসনের একাংশকে ঘিরে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu adhikari)। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকারের অন্দর থেকেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অফিসার তাঁকে গোপনে তথ্য দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, তিনি দাবি করেছেন, ইতিমধ্যেই ১০০-র বেশি WBCS অফিসার এবং ২০-রও বেশি IAS আধিকারিক তাঁকে প্রশাসনের গোপন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছেন।
এদিন শুভেন্দু (Suvendu adhikari) বলেন, “ভোটার তালিকা তৈরির জন্য রাজ্যের মমতা প্রশাসন নির্বাচন কমিশনকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে। BLO-দের বদল করার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু তা তারা পারবে না। এই অবস্থায় কমিশনের পক্ষে নতুন ভোটার তালিকা তৈরি করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। আর তালিকা না হলে ভোটও হবে না।” এরপরই তিনি স্পষ্ট বলেন, “এই পরিস্থিতিতে রাজ্য প্রশাসনের একাংশ যেভাবে সহযোগিতা করছেন, বিশেষ করে যাঁরা আমাকে তথ্য দিচ্ছেন—তাঁদের আমি ধন্যবাদ জানাই।”
শুভেন্দুর (Suvendu adhikari) এমন দাবিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে বিরোধী দলনেতাকে গ্রেফতার করে তাঁর কাছ থেকে সমস্ত তথ্য আদায় করা উচিত। একজন সরকারি অফিসার যদি সরকার বিরোধী গুপ্তচরবৃত্তি করেন, তাহলে তা দেশের আইনত বড় অপরাধ। এর নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া জরুরি।”
এদিকে বিহারে এনআরসি-মতো প্রক্রিয়া অর্থাৎ SIR চালুর পরে, পশ্চিমবঙ্গেও এই নিয়ে আতঙ্ক ও জল্পনা ছড়িয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যেও অগস্ট মাস থেকে SIR চালু করার তোড়জোড় চলছে। বিএলও-দের ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, তৈরি রাখা হয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের।
এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের অজান্তে এক হাজার সরকারি কর্মীকে দিল্লিতে ট্রেনিংয়ে পাঠানো হয়েছে। ডিএমরা খেয়াল রাখছেন না, চোখ-কান খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছি। বাংলায় যারা বাংলা ভাষায় কথা বলে, তাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার হচ্ছে।”
শুভেন্দুর এমন দাবি, যেখানে তিনি প্রশাসনের গোপন সাপোর্ট পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন, তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আরও বড়সড় সংঘাতের ইঙ্গিত মিলছে। বিশেষ করে যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সরকারি কর্মীদের সতর্ক করছেন, সেখানে বিরোধী শিবিরের এমন দাবি এক গভীর দ্বন্দ্বের ছবি তুলে ধরছে।
Related Tags: