রাজ্যজুড়ে যখন এসআইআর নিয়ে চাপা উদ্বেগ, আত্মহত্যা থেকে শুরু করে সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টার মতো একের পর এক অস্বস্তিকর ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে, ঠিক সেই ভুরিভুরি উত্তেজনার আবহেই নতুন চাঞ্চল্য কল্যাণীতে (SIR Camp)। রাতের অন্ধকারে হঠাৎই দাউদাউ করে জ্বলে উঠল তৃণমূলের এসআইআর সহযোগিতা ক্যাম্প। মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের আঁচ পৌঁছে গেল রাজনীতির অন্দরমহলে। অভিযোগের তির সরাসরি বিজেপির দিকে তাক করেছে শাসকদল। তবে বিজেপির দাবি, সবটাই তৃণমূলের ভিতরের দ্বন্দ্বের ফল (SIR Camp)।
কল্যাণী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের তরফে প্রতিদিনের মতো এসআইআর সাহায্য(SIR Camp) শিবির চলছিল। হঠাৎ গভীর রাতে স্থানীয়রা দেখতে পান ক্যাম্পের কাঠামো থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। ব্যানার-ফ্লেক্সে আগুন লেগে যায় মুহূর্তে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকা ব্যানারের বড় অংশই পুড়ে ছাই হয়ে যায় (SIR Camp)। খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ ও পুরসভার প্রধান। ক্যাম্প আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আরও বড় ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়।
ঘটনার পরই তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ তোলে—এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, রাজনৈতিক শত্রুতার ফল। তাদের দাবি, রাজ্যজুড়ে তৃণমূল সরকারের উদ্যোগ মানুষের কাছে পৌঁছতে শুরু করতেই বিরোধীরা বিপাকে পড়েছে (SIR Camp)। তাই রাতের অন্ধকারে ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কল্যাণী পুরসভার পুরপ্রধান ডঃ অনিমেষ রায়চৌধুরী ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্যামল দাস বলেন, এই ঘটনা “গণতান্ত্রিক রাজনীতির পরিপন্থী” এবং “কেউ চাইলেও তৃণমূলকে মানুষের পাশে দাঁড়ানো থেকে আটকাতে পারবে না”।
অন্যদিকে বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পালটা কটাক্ষ করে বলেন, “বিজেপি কখনও এই ধরনের নোংরা রাজনীতি করে না। বরং তৃণমূলই নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দল ঢাকতে বিজেপির মাথায় দোষ চাপাচ্ছে। প্রমাণ হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব, তবুও এই অপবাদ মেনে নেব না।”
এখন ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে তৃণমূল-বিজেপির পারস্পরিক দোষারোপে পুরো এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ইতিমধ্যেই। স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, রাজনৈতিক বিদ্বেষে এই আগুন আরও অনেক বড় অশান্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে।












