আগেই শুরু হয়েছিল প্রস্তুতি (Indian Soldier)। শনিবার সকালেই ভারতীয় বীর জওয়ান (Indian Soldier)ঝন্টু শেখের কফিনবন্দি দেহ পৌঁছায় তাঁর তেহট্টের বাড়িতে। চোখের জলে ভেজা পরিবেশেও (Indian Soldier), দেশবাসীকে অশান্তি এড়িয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়ার শপথ নিতে আহ্বান জানান ঝন্টুর দাদা (Indian Soldier) শফিকুল শেখ।
দেহ পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা-মা, স্ত্রী ও আত্মীয়রা। পাথরঘাটা এলাকাজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। বেলা ১১টা নাগাদ, এলাকায় গান স্যালুট দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় বীর শহিদকে। শত শত মানুষ ভিড় করেন শেষ বিদায় জানাতে।
কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হিন্দু পর্যটকদের নৃশংস হত্যার পর থেকে উত্তাল গোটা দেশ।
ঠিক সেই সময়েই, উধমপুরে জঙ্গিদের খোঁজে অভিযানে গিয়ে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হন ঝন্টু। খবর আসতেই মুহূর্তে শোকের ছায়ায় ঢেকে যায় গোটা তেহট্ট। ঘরের ছেলের অপেক্ষায় প্রহর গুনছিল গোটা এলাকা। ঝন্টুর স্মরণে সাজানো হয় তাঁর ছবি। শোকস্তব্ধ চারদিক।
জঙ্গিদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে ঝন্টুর মাথা ও দুই কাঁধে গুলি লাগে। তাঁর সতীর্থরা তাঁকে দ্রুত চপারে করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও, শেষ রক্ষা হয়নি। কাশ্মীর থেকে প্রথমে দেহ আনা হয় ব্যারাকপুর সেনা হাসপাতালে, সেখান থেকে পাঠানো হয় তাঁর বাড়িতে। ঝন্টুর অন্তিম যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বিধাননগর পৌরসভার মেয়র সব্যসাচী দত্তও।