বর্ধমানের (Burdwan) আউশগ্রামের ভেদিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির অজুহাতে রসিদ ছাড়াই ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিভাবক এবং পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে স্কুল ফি হিসেবে ৪০০ টাকা এবং পরবর্তীতে উপস্থিতি কম থাকার অজুহাতে আরও ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য, যাঁদের যথেষ্ট উপস্থিতি রয়েছে, তাঁদের কাছ থেকেও এই ২০০ টাকা আদায় করা হয়েছে (Burdwan)!
এই অভিযোগ সামনে আসতেই মুখ খুলেছেন বিদ্যালয়ের (Burdwan) প্রধান শিক্ষক দেবাশিস মিশ্র। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তাঁকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হয়েছিল এবং এইভাবে টাকা আদায় মোটেই সঠিক নয় (Burdwan)।
বিদ্যালয়ের (Burdwan) করণিক আব্দুল আলিম মণ্ডল পরে নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি একটা ভুল করে ফেলেছি। বলেছিলাম, টাকা ফেরত দিয়ে দেব।” বিদ্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, যাঁদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়া হয়েছে, তাঁদের তা দ্রুত ফেরত দেওয়া হবে।
ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) দেবব্রত পাল। ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে আমার কোনও পূর্বধারণা নেই। তবে অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে এমনভাবে টাকা নেওয়া একেবারেই বেআইনি। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।”
অভিভাবকদের প্রশ্ন, বিদ্যালয়ে নিয়ম না মেনেই কীভাবে পড়ুয়াদের কাছ থেকে বেআইনি আর্থিক চাপ তৈরি করা হল? এই ঘটনা আরও একবার স্কুল প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।