মেটিয়াবুরুজে গোষ্ঠীগত সংঘর্ষের ঘটনায় নতুন মোড়। ঘটনায় নাম জড়াল আরএসএস-এর এক (RSS Worker) কর্মীর। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সংঘর্ষের পর বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ মশলা উদ্ধার হয়েছে বজবজ এলাকা থেকে। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন সক্রিয় আরএসএস কর্মী বলেই দাবি পুলিশের।
বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে এই তথ্য জানান ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী (RSS Worker)। তিনি বলেন, বুধবার রাতভর গোটা এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। সন্ধ্যা পৌনে ন’টার সময় বজবজ থানার পুলিশ তিনটি বাইকে করে বোমার মশলা পাচার হচ্ছে দেখে ধরে ফেলে। সেখান থেকেই বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশ কিছু বিপজ্জনক পদার্থ।
এসপি জানান, ধৃতদের (RSS Worker) কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম পাউডার, ১০ কেজির বেশি অ্যালুমিনিয়াম পাউডার, ফসফরাসের গুঁড়ো, রেড সালফার ও আরও কিছু রাসায়নিক জব্দ করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “এই সমস্ত পদার্থ বোমা তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়।”

গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনের মধ্যে একজন হলেন নবীনচন্দ্র রায় (RSS Worker)। তিনি আরএসএস-এর সক্রিয় কর্মী বলে দাবি পুলিশের। এসপি জানান, “নবীনবাবুকে রাম নবমীর দিন বাটা মোড়ে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলার সময় দেখা গিয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ভিডিও ফুটেজও রয়েছে। এমনকি পুলিশের ব্যারিকেডও ছুড়ে ফেলার ঘটনা ধরা পড়েছে সেই ভিডিওয়।”
উল্লেখ্য, বুধবার সন্তোষপুর ও রবীন্দ্রনগর এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয় (RSS Worker)। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ইটবৃষ্টিতে আহত হন এক মহিলা পুলিশকর্মী সহ কয়েকজন পুলিশ। যদিও আহতরা কেউ গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন এসপি।
এই ঘটনার রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াও শুরু হয়েছে। বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “আরএসএস-কে টার্গেট করা হচ্ছে। যারা প্রথমে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছিল, তাদের ধরা হল না। শুধু বিজেপি বা আরএসএস-এর নাম টেনে চালানো হচ্ছে তদন্ত।”