ন্দরবনের কুলতলির দেউলবাড়ি গ্রামে বেশ কয়েকদিন ধরেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। গ্রামের পাশের জঙ্গলে বাঘের (Royal Bengal Tiger) দেখা মিলেছে—এই খবরেই শুরু হয় চাঞ্চল্য। গতকাল শনিবার সকালে গ্রামের কিছু মানুষ কাজে বেরিয়ে দেখতে পান রাস্তায় বড়সড় পায়ের ছাপ। সন্দেহ করা হয়, সেটি বাঘের। দ্রুত খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরে।
বনদপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পরীক্ষা করে দেখেন, সত্যিই বাঘের (Royal Bengal Tiger) পায়ের ছাপ। অনুমান হয়, নদী পেরিয়ে একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger) লোকালয়ের খুব কাছে চলে এসেছে। স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই দাবি করেন, একটি নয়, দুইটি বাঘ রয়েছে ওই জঙ্গলে। তাই নিরাপত্তার কথা ভেবে বনদপ্তরের তরফে গোটা এলাকা জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। জঙ্গলের আশপাশে থাকা মানুষদের সরিয়ে দেওয়া হয় নিরাপদ দূরত্বে। এলাকায় ঘোরাফেরা বন্ধ রাখতে বলা হয়।
বনদপ্তরের কর্মীরা প্রথমে চেষ্টা করেন বাঘটিকে ফের জঙ্গলে পাঠাতে। কিন্তু বাঘটি সাড়া দিচ্ছিল না, বরং আশপাশেই ঘোরাফেরা করছিল। অবশেষে সিদ্ধান্ত হয়, খাঁচা পেতে তাকে ধরার। ছাগলকে টোপ হিসেবে রেখে গভীর রাতে খাঁচা পাতা হয়। বনকর্মীরা এবং গ্রামের বাসিন্দারা সজাগ ছিলেন।

রাত প্রায় সাড়ে তিনটের সময় হঠাৎ বাঘের গর্জন শুনে ছুটে যান বনকর্মীরা। গিয়ে দেখেন, টোপে পা দিয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। সফলভাবে খাঁচায় ধরা পড়েছে সেই ভয়ংকর বন্যপ্রাণী। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে বনদপ্তরের হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই মুহূর্তে বাঘটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। বনদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, সবকিছু ঠিক থাকলে সুস্থ অবস্থায় বাঘটিকে আবার গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। গ্রামবাসীরা অনেকটাই স্বস্তিতে। একদিকে বাঘ ধরা পড়েছে, অন্যদিকে বড় কোনও দুর্ঘটনা না ঘটায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন সকলে।