রামপুরহাট কেঁপে উঠেছে আদিবাসী নাবালিকা ছাত্রী খুনের ঘটনায় (Rampurhat)। পুলিশের হাতে ধৃত স্কুল শিক্ষক মনোজকুমার পালকে ঘিরে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে (Rampurhat)। অভিযোগ, বহুদিন ধরেই সে বিকৃতকাম প্রবৃত্তির জন্য কুখ্যাত ছিল। এই কারণেই বছর ছয়েক আগে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তার। স্ত্রীর উপর শারীরিক নির্যাতন চালাত বলে খবর। ডিভোর্সের পরও নাকি তার লালসার ভূত মাথা থেকে নামেনি। অভিযোগ, এক পরিচারিকার সঙ্গেও অশালীন সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল সে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত মনোজের ভাড়া বাড়িতে (Rampurhat) তল্লাশি চালিয়ে সেক্স টয় এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির ওষুধ উদ্ধার হয়েছে। সব মিলিয়ে অভিযুক্তর বিকৃত মানসিকতার প্রমাণ মেলে সেখানেই।
অভিযোগ, এরপর থেকেই মনোজের (Rampurhat) নজর পড়ে তার টিউশনের ছাত্রী, সেই নাবালিকা আদিবাসী মেয়েটির উপর। দীর্ঘদিন ধরে সে ওই ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক করার চেষ্টা করছিল। এমনকি বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল। কিন্তু মেয়েটি রাজি হয়নি। জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টাও নাকি করেছিল মনোজ। নাবালিকা দৃঢ়ভাবে আপত্তি জানায়। আর তার ফলেই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।
মাত্র ৪৫ বছর বয়সী মনোজকুমার পাল পেশায় স্কুল শিক্ষক হলেও টিউশন পড়িয়ে সংসার চালাত। আর সেই সুযোগেই তার কাছে পড়তে যেত নাবালিকা ছাত্রী। কিন্তু সেই নির্দোষ ছাত্রী যে তার শিকার হয়ে যাবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি কেউ। আজ গোটা রামপুরহাট রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছে।