জঙ্গলমহলের বুক কাঁপিয়ে ফের ফিরে এল এক দশক আগের আতঙ্ক (Bomb Blast)। রবিবার সন্ধ্যাবেলা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা স্টেশন সংলগ্ন শিলাই হল্টের কাছে হঠাৎই থেমে যায় দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস। আর ঠিক তখনই পেছন থেকে ভেসে আসে এক প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ (Bomb Blast)। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। অল্পের জন্য রক্ষা পেল শতাধিক যাত্রীর প্রাণ।
রেল সূত্রের খবর, রাজধানী এক্সপ্রেসের গার্ডই প্রথম বিস্ফোরণের শব্দটি শুনতে পান এবং দ্রুত স্থানীয় স্টেশনে খবর দেন। এরপর রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রেল কর্তৃপক্ষ। তবে বিস্ফোরণ সংক্রান্ত বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কেউ মুখ খোলেননি (Bomb Blast)। সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করে রেল আধিকারিকরা ও পুলিশ। ফরেন্সিক টিম এসে নমুনা সংগ্রহ করেছে, যা বিশ্লেষণ করে বিস্ফোরণের প্রকৃতি জানা যাবে।
একই দিন, ওড়িশার সীমান্তবর্তী সুন্দরগড় অঞ্চলেও (Bomb Blast) ঘটে একই ধরনের রেললাইনে বিস্ফোরণ। দুই জায়গায় একসঙ্গে এমন ঘটনা একদিকে যেমন আতঙ্ক ছড়িয়েছে, তেমনই ফের চোখ রাঙাতে শুরু করেছে মাওবাদী তৎপরতার ছায়া।
এই ঘটনার সঙ্গে এক ভয়াবহ সমাপতন রয়েছে। ২৮ জুলাই থেকে ৩ অগস্ট পর্যন্ত মাওবাদীদের ‘শহিদ সপ্তাহ’ পালিত হচ্ছে। এই সময় তারা সাধারণত বনধের ডাক দেয়, শোক পালনের আড়ালে সক্রিয় হয় নাশকতায়। রবিবার ছিল শহিদ সপ্তাহের শেষদিন। ঠিক এই দিনই জঙ্গলমহল ও ওড়িশায় রেললাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রবল সন্দেহ দানা বেঁধেছে যে এই নাশকতার পিছনে মাওবাদীরাই রয়েছে।
আপাতত তদন্ত চলছে। ফরেন্সিক রিপোর্ট আসার পরেই নিশ্চিত হওয়া যাবে, কীভাবে এবং কে বা কারা এই বিস্ফোরণ ঘটাল। তবে এতদিন পরও জঙ্গলমহল যেন ফিরে গেল সেই পুরনো দিনগুলিতে—যেখানে রেলের চাকা থেমে যেত বোমার শব্দে, আর আতঙ্ক ছিল নিত্যসঙ্গী।