ফের গভীর সমুদ্রে ভয়াবহ ট্রলার ডুবির ঘটনা (Raidighi)। শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি ঘাট থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মুখে পড়ে একটি ট্রলার। ট্রলারে থাকা ১৩ জন মৎস্যজীবীর জীবনে নেমে আসে মৃত্যুর ছায়া। তবে চরম বিপদের মুখ থেকে অলৌকিকভাবে উদ্ধার করা হয় সকলকে (Raidighi)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এফবি ভাইভাই নামে একটি মাছধরার ট্রলার রায়দিঘি ঘাট থেকে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল ১৩ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে (Raidighi)। জালে উঠেছিল প্রচুর ইলিশ। সেই সোনালি সাফল্য নিয়ে ট্রলার যখন ঘাটের দিকে ফিরে আসছে, তখনই বিপর্যয়। বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে পড়ে ট্রলারটির পাটাতনে ফাটল ধরে। একঝলকে হু হু করে জল ঢুকে পড়ে ভিতরে। মুহূর্তের মধ্যেই ট্রলারটি ডুবে যেতে থাকে (Raidighi)।
চিৎকার, আতঙ্ক আর মৃত্যু-ভয়ের মধ্যে ভেসে যাচ্ছিলেন মৎস্যজীবীরা। তবে আশার আলো জ্বলে ওঠে ঠিক তখনই। পাশে থাকা আরও দু’টি ট্রলারের মৎস্যজীবীরা তাঁদের করুণ আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন উদ্ধার করতে। প্রাণ বাজি রেখে ওই ১৩ জনকে নিরাপদে জল থেকে টেনে তোলে তাঁরা।
ঘটনার খবর পৌঁছতেই এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে চরম উদ্বেগ। মৎস্যজীবী সংগঠন জানিয়েছে, ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে উদ্ধারের জন্য আরও কয়েকটি ট্রলারকে পাঠানো হয়েছে সাগরে (Raidighi)।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই নামখানা উপকূল থেকেও দুটি ট্রলার গভীর সমুদ্রে একই রকম দুর্যোগের মুখে পড়ে। যদিও সেবারও প্রাণহানি হয়নি।
এই ঘটনার জেরে আবারও প্রশ্ন উঠছে, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও আধুনিক সরঞ্জাম ছাড়া কেন সমুদ্রে নামানো হচ্ছে ট্রলার? মৎস্যজীবীদের প্রাণ নিয়ে এমন খেলা আর কতকাল চলবে?