দক্ষিণ ২৪ পরগনার রবীন্দ্র নগরের আক্রান্ত (Rabindra Nagar) সন্তোষপুর এলাকায় বুধবার সকাল থেকেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রবল সংঘর্ষ শুরু হয়। ধীরে ধীরে সেই সংঘর্ষ এতটাই ভয়াবহ আকার নেয় যে, দুপুরের পর পরিস্থিতি কার্যত পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
সংঘর্ষের মাঝখানে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় (Rabindra Nagar) একাধিক বাইকে, ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। এক পুলিশকর্মী রক্তাক্ত হন। এক মহিলা পুলিশকর্মীর হাতে ইট লাগে, তিনি আহত হন।
পুলিশ সকাল থেকে শান্তি ফেরাতে চেষ্টা করছিল। বিকেলের দিকে হঠাৎ করে বাড়ির ছাদ থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া শুরু হয় (Rabindra Nagar) । উত্তেজিত জনতা এলাকার একাধিক দোকান ও বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
পুলিশ প্রথমে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি (Rabindra Nagar) । কিছুক্ষণের বিরতির পর ফের শুরু হয় ইটবৃষ্টি। আহত হন আরও পুলিশকর্মী। পুলিশ সাদা রুমাল হাতে নিয়ে শান্তির বার্তা দিতে এগিয়ে গেলেও তখনও তাদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। পুলিশের গাড়িতে ইট মেরে তা ভেঙে ফেলা হয়। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিশ শেষ পর্যন্ত কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।
এই ঘটনার পর রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনায় সরব হয়েছেন। তিনি প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অপরদিকে, শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এই বিষয়টি পুলিশ-প্রশাসন দেখছে। কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করব না।”