পুরুলিয়ার (Purulia) তৃণমূলের যুব সভাপতি গৌরব সিং দলের একাংশ নেতাদের কঠোর আক্রমণ করলেন। রবিবার পুরুলিয়া শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে দলের প্রয়াত কর্মীদের স্মরণে “চায়ের সঙ্গে আড্ডা” অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জিততে হলে দলের ভিত থেকে ‘ভাইরাস’ দূর করতে হবে। তিনি আরও দাবি করেন, দলের (Purulia) লোগো কেড়ে নেওয়া হলে মানুষের তো দূরের কথা, পাড়ার নেড়ি কুকুরও পেছনে থাকবে না।
গৌরব সিং বলেন (Purulia), যারা দলের স্বর্গীয় কর্মীদের সম্মান জানায় না, তারা তৃণমূলের সৎ কর্মী হতে পারেন না। পুরোনো কর্মীরা যদি সভায় আসতে পারতেন, তাহলে যারা এখন চার চাকা গাড়িতে ঘুরছেন, সাদা জুতো পরেন, তাঁরা সেখানে থাকতে পারতেন না। তিনি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলের হারের জন্য কাউন্সিলরদের দায়ী করলেন এবং দলের একাংশকে (Purulia) ‘ভাইরাস’ হিসেবে উল্লেখ করে দলের মজবুতির জন্য তাদের সরাতে হবে দাবি জানালেন।
গত দুই দিন আগে কামারহাটিতে বিধায়ক মদন মিত্রও দলের কাউন্সিলরদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এখনই যদি কেউ দলের জামাটা খুলে ফেলে আর কাউন্সিলর পদ হারায়, তাহলে পাড়ার কুকুরও পায়ে কামড় দেবে। গৌরব সিংয়ের বক্তব্য যেন মদন মিত্রের কথারই পুনরাবৃত্তি ছিল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ মৃগাঙ্ক মাহাতো, প্রাক্তন কো-মেন্টর জয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুরুলিয়া পৌরসভার কিছু কাউন্সিলর। মৃগাঙ্ক মাহাতো বলেন, “সংগঠন নিজস্বভাবে কাজ করছে, পদে থাকা নেতাদের কাজের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন।”
পুরুলিয়া শহর তৃণমূল সভাপতি প্রদীপ ডাগা বলেন, অনেককে আনা হয়েছিল, কিন্তু কেন সবাই আসেনি জানি না। তিনি বলেন, দলকে স্বচ্ছভাবে করতে চাইলে তা হবে। তবে যারা আসেননি, হয়তো দলকে জানাতে চাইছেন আমার ব্যর্থতা।
অন্যদিকে অনুপস্থিত কাউন্সিলরদের মধ্যে একজন বিভাস দাস (Purulia) বলেন, এই অনুষ্ঠান দলের নয়, এটি ব্যক্তিগত প্রোগ্রাম। শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং আড্ডা একসঙ্গে চলতে পারে না। তিনি গৌরব সিংয়ের রাজনীতির দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এবং বলেছেন, এখনই পদত্যাগ করা উচিত।
পুরুলিয়ার (Purulia) তৃণমূলের এই ভেতরগাঁঠুনি ও দ্বন্দ্ব আগামী নির্বাচনে দলের ফলাফলে কী প্রভাব ফেলে, তা এখন থেকেই নজরে রাখা হচ্ছে।