পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদা রেঞ্জে টানা দুই সপ্তাহে প্রায় ২০টি ছাগলকে মেরে ফেলা হয়েছে। কখনও গভীর জঙ্গলে, কখনও আবার গ্রামবাসীর গোয়ালঘরে ঢুকে ছাগলের উপর হামলা চালাচ্ছে অজানা কোনও বন্যপ্রাণী। অনেক সময় কয়েকটি ছাগল নিখোঁজ হয়ে যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে মৃত ছাগলের শরীর জঙ্গলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় (Purulia)। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হল, কিছু ঘটনায় ছাগলের শরীর খুবলে রক্ত শুষে নিয়ে গোয়ালঘরেই মৃতদেহ ফেলে পালিয়েছে ওই প্রাণী।
পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদার কাঁটাডি, মহাদেবপুর, গোপালপুর, হুসেনডি, গুটিলোয়া, ছাতমঘুটু—এই সব গ্রামে এখন ভয়ের পরিবেশ। বনদপ্তরের অনুমান, হামলাকারী প্রাণীটি সম্ভবত বিড়াল প্রজাতির। কিন্তু ঠিক কোন প্রাণী? তা জানতেই চলছে দিন-রাত নজরদারি। ইতিমধ্যেই পাঁচটি ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়েছে (Purulia)। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সোনালী শিয়াল ও খরগোশ, তবে ছাগল হত্যাকারীর কোনও প্রমাণ মেলেনি।
কংসাবতী উত্তর বন বিভাগের (Purulia) ডিএফও মুদিত কুমার জানিয়েছেন, “গোল্ডেন জ্যাকেল এই ধরণের হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে না। যে প্রাণী ছাগলগুলিকে মেরেছে, তা আরও শক্তিশালী। আমরা চেষ্টা করছি, আসল হামলাকারীকে চিহ্নিত করতে।” প্রয়োজনে আরও ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হবে।
কিছু বছর আগে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ও বনদপ্তরের রিপোর্টে পুরুলিয়ার জঙ্গলে চিতা বাঘ, নেকড়ে, ডোরাকাটা হায়না, জঙ্গল বিড়াল ও মেছো বিড়ালের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছিল। বর্তমানে কোটশিলা ও ঝালদার জঙ্গলে চিতাবাঘ রেসিডেনশিয়াল বলে জানিয়েছে বনদপ্তর। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারও মাঝে মাঝে দেখা যায়। তবে এখনও পর্যন্ত গরু-ভেড়ার মতো বড় গবাদি পশুর উপর আক্রমণ হয়নি। তাই বনকর্তাদের মতে, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার নয়। তবে কি চিতা বাঘই এই হত্যার জন্য দায়ী? বনকর্তারা বলছেন, “এমনটা হতে পারে। কিন্তু ছবি না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাবে না।”