নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিতে বাংলার পশ্চিমাঞ্চলে ক্রমেই বিপজ্জনক রূপ নিচ্ছে পরিস্থিতি। পুরুলিয়া (Purulia) জেলায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। প্রবল বৃষ্টির জেরে ভেঙে পড়ল একটি মাটির বাড়ি। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিন জনের। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরও তিন জনকে। ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে পুরুলিয়ার ১ নম্বর রমাইগড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শবরটোলায় (Purulia) ।
জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে টানা বৃষ্টির ফলে বাড়িটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। তখন ওই বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন পরিবারের সদস্যরা (Purulia) । টানা বৃষ্টিতে আগে থেকেই মাটি ছিল নরম। আর তার জেরেই এই বিপর্যয় বলে অনুমান। রাতের অন্ধকারে ঘটনার পর কেউ বেরিয়ে আসতে পারেননি। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিন জন (Purulia) ।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় টামনা থানার পুলিশ (Purulia) । সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় উদ্ধার কাজ। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধার করা হয় তিনটি মৃতদেহ এবং তিনজন আহতকে। আহতদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় চাকলতোড় গ্রামীণ হাসপাতালে। পরে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Purulia) ।
এখনও পর্যন্ত মৃতদের পরিচয় জানা যায়নি। তবে এই ঘটনা ঘিরে উঠছে এক গুরুতর প্রশ্ন—তাঁরা কেন এখনও মাটির বাড়িতে থাকতেন? জেলা সভাধিপতি নিবেদিত মাহাতো জানিয়েছেন, ওই পরিবার আবাস যোজনার ঘর পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা সেই ঘরে না থেকে জঙ্গলঘেরা এক নির্জন এলাকায় বসবাস করতেন, যেখানে তাঁদের মাটির বাড়ি ছিল। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, সরকার থেকে পাওয়া অর্থ অন্যত্র ব্যবহার করে তাঁরা মাটির বাড়ি তৈরি করেছিলেন কি না।
এই ঘটনা ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, প্রকৃত দুর্যোগে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন সমাজের প্রান্তিক মানুষরাই। প্রশাসনের নজরদারি ও প্রকৃত গৃহনির্মাণের তদারকি কতটা জরুরি, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।