জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার মূল চক্রী সুলেমান অবশেষে ভারতীয় সেনার গুলিতে খতম। সেনার ‘অপারেশন মহাদেব’-এ সুলেমান-সহ আরও দুই জঙ্গি নিহত হয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে স্বস্তি পেলেন শহিদ আইবি অফিসার মণীশরঞ্জন মিশ্রর পরিবার (Purulia), কিন্তু তাদের দাবি—এতেই শেষ হওয়া উচিত নয়। সরাসরি পাকিস্তান সরকার ও পাক সেনার বিরুদ্ধেও চাই কঠোর ব্যবস্থা (Purulia)।
মণীশরঞ্জনের ভাই বিনীতরঞ্জন মিশ্র (Purulia) এক আবেগঘন প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “খবরের চ্যানেলে দেখলাম যে সুলেমানকে খতম করা হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। কিন্তু এটুকুই কি যথেষ্ট? যারা এই হামলার পিছনে ছায়া সরকার হিসেবে কাজ করেছে, পাকিস্তান সেনা ও প্রশাসন—তাদের বিরুদ্ধেও যেন কেন্দ্র সরকার কঠোর জবাব দেয়।”
গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সেদিন নাম ও পরিচয় যাচাই করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় ২৬ জনকে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদা এলাকার বাসিন্দা, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর অফিসার মণীশ মিশ্র। হায়দরাবাদে কর্মরত মণীশ স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন কাশ্মীরে। সেই ঘোরাঘুরি রূপ নেয় বিভীষিকায়। পরিবারের সামনেই গুলিবিদ্ধ হন তিনি। মণীশের মৃত্যুতে কেঁদে উঠেছিল গোটা ঝালদা, নিঃশেষ হয়েছিল এক সুখী পরিবার।
হামলার পনেরো দিনের মাথায় ভারতীয় সেনা জবাব দেয় পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে। ধ্বংস করে দেওয়া হয় একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি। এরপর ফের আর এক দুঃসাহসিক অভিযানে সেনা আঘাত হানে শ্রীনগরের কাছে লিডবাস এলাকায়। এই অভিযানে মারা পড়ে তিন জঙ্গি। জানা গিয়েছে, তাদের মধ্যে একজনই পহেলগাঁও হামলার মূল মাথা সুলেমান। সেনার এই সাফল্যে শহিদ পরিবারের পাশাপাশি দেশবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও, প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—এই হামলার নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের বিচার কি হবে?
শহিদ মণীশ মিশ্রর ভাইয়ের দাবি, পাকিস্তান সেনা ও আইএসআই এই হামলার ছায়া পরিচালনায় যুক্ত। শুধুমাত্র কিছু জঙ্গিকে খতম করলেই শহিদদের আত্মার শান্তি হবে না। দরকার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক স্তরে পাক সরকারের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ ব্যবস্থা।