Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • “নিপীড়িতের পাশে থাকাই সবচেয়ে বড় চিকিৎসা” — রাষ্ট্রপতির হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া ভাষণে কান পাতল বাংলা
জেলা

“নিপীড়িতের পাশে থাকাই সবচেয়ে বড় চিকিৎসা” — রাষ্ট্রপতির হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া ভাষণে কান পাতল বাংলা

draupadi murmu
Email :3

রাজ্যের ইতিহাসে এক বিশেষ দিন ছিল বুধবার। এদিন পশ্চিমবঙ্গে পা রাখেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর তিনি সোজা চলে যান নদিয়ার কল্যাণী এইমস-এ। কারণ ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ—কল্যাণী এইমস-এর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্যই তাঁর (Draupadi Murmu) আগমন। এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে ৪৮ জন এমবিবিএস উত্তীর্ণ ও ৯ জন স্নাতকোত্তর চিকিৎসকের হাতে ডিগ্রির শংসাপত্র তুলে দেন রাষ্ট্রপতি।

অনুষ্ঠানে সদ্য উত্তীর্ণ চিকিৎসকদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতির (Draupadi Murmu) বক্তব্য ছিল অনুপ্রেরণামূলক ও গভীর বার্তাবাহী। তিনি বলেন, “এইমস-কল্যাণীকে দেশের অন্যতম শীর্ষ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব এখানকার পড়ুয়াদের কাঁধেই। নিপীড়িত, দরিদ্র, প্রান্তিক মানুষের সেবা করাই একজন প্রকৃত চিকিৎসকের কর্তব্য। তাঁদের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করাই হবে সবচেয়ে বড় সাফল্য।”

এই প্রসঙ্গে তিনি (Draupadi Murmu) স্মরণ করেন বাংলার মহান দুই ব্যক্তিত্বের—ভগবান চৈতন্যদেব এবং বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের নাম। তিনি (Draupadi Murmu) বলেন, “কল্যাণীর মাটি বহু মহান ব্যক্তিত্বের জন্মভূমি। সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেই এইমস-কল্যাণীকেও পথ চলতে হবে। উত্তীর্ণ চিকিৎসকদের শুধু চিকিৎসাই নয়, রোগীদের স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গড়ে তুলতেও সহায়ক হতে হবে।”

রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে উঠে আসে কল্যাণী শহরের ইতিহাসও। স্মরণ করিয়ে দেন কীভাবে স্বাধীন ভারতের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় এই শহরের পরিকল্পনা করেছিলেন এবং গড়েছিলেন এক উন্নত পরিকাঠামোর স্বাস্থ্যনগরী। তিনি আরও বলেন, “ডাক্তার রায় শুধু পরিকাঠামো গড়েননি, বহু মানুষকে নিঃস্বার্থভাবে বিনামূল্যে চিকিৎসাও দিয়েছেন। আজকের চিকিৎসকদেরও সেই পথেই হাঁটতে হবে।”

উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১৮ সালে স্থাপিত কল্যাণী এইমস-এর এটাই ছিল প্রথম সমাবর্তন। এই ঐতিহাসিক দিনটির সাক্ষী থাকলেন দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের একাধিক ব্যক্তিত্ব। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী প্রতাপরাও যাদব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং এইমস-কল্যাণীর কার্যনির্বাহী কর্তা ডা. রণজিৎ সিং।

এই প্রথম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির বার্তা শুধু মেডিক্যাল জগতের জন্য নয়, বাংলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এবং ভবিষ্যৎ চিকিৎসকদের জন্যও এক দিকনির্দেশক বার্তা হয়ে রইল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts