Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • জেলা
  • পাথরপ্রতিমায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব! রাতের অন্ধকারে বিডিও-র গাড়িতে আগুন, দোকান-বাড়ি পুড়ে ছাই
জেলা

পাথরপ্রতিমায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব! রাতের অন্ধকারে বিডিও-র গাড়িতে আগুন, দোকান-বাড়ি পুড়ে ছাই

fire beak pathar pratima
Email :3

দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় রাতের অন্ধকারে হঠাৎ দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে আতঙ্কে কেঁপে উঠল গোটা এলাকা (Pathar Pratima)। গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গা গোবিন্দপুর এলাকায় গভীর রাতে একটি দুষ্কৃতীদল হামলা চালায়। কোনও প্ররোচনা বা সংঘর্ষ ছাড়াই গ্রামের ভেতর ঢুকে একের পর এক দোকান, বাড়ি, বাইক এবং গবাদি পশুর ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেয় তারা। আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে পাথরপ্রতিমার বিডিও-র সরকারি গাড়িও। হামলার তীব্রতায় এলাকার বহু বাসিন্দা সারা রাত ঘর ছেড়ে বাইরে দাঁড়িয়ে আতঙ্কে কাটিয়েছেন (Pathar Pratima)।

স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, দুষ্কৃতীরা যেভাবে পরিকল্পনা করে মাঝরাতে গ্রামে ঢুকেছে, তাতে স্পষ্ট বোঝা যায় এটি কোনও একক ব্যক্তির কাজ নয় (Pathar Pratima)। একই সময়ে গ্রামে বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগানো হয়। বেশ কয়েকটি গবাদি পশুর আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে দ্রুত আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন। বহুক্ষণ চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকলকর্মীরা। তবে সকাল পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে।

সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছান পাথরপ্রতিমার (Pathar Pratima) তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানা। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর বক্তব্য, “এটা স্পষ্টই একটি গ্যাং-এর কাজ। একই সময়ে বিভিন্ন বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এলাকায় কিছু দুষ্কৃতী রয়েছে, যারা নিয়মিত চুরি-ডাকাতি করে। গ্রামবাসীরা তাদের চেনে। দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে।”

বিধায়ক দাবি করেন, পুলিশ রাতেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল। এমনকি আগুন নেভানোর জন্য স্থানীয়দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুলিশকর্মীরাও বালতি হাতে জল ঢেলেছেন। তবে তিনি এটাও স্বীকার করেন যে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।

অগ্নিকাণ্ডে দোকান হারানো এক বাসিন্দার বর্ণনায় মর্মান্তিক মুহূর্ত ফুটে উঠেছে। তিনি বলেন, “বাইরে থেকে আগুন লাগিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। দোকানের ভিতর দুটো গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। কোনোমতে বের করে আনতে পেরেছি। না হলে বড় বিস্ফোরণ হত, আরও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হতো।”

হামলার পর এলাকা জুড়ে ভয়, ক্ষোভ ও আতঙ্কের পরিবেশ। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি তুলেছেন স্থানীয় মানুষজন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts