পাঁশকুড়ার (Panskura) গোসাইবেড় গ্রামে চিপস চুরির অপবাদে এক নাবালক ছেলের মৃত্যু হয়েছে, যিনি অপমান সহ্য করতে না পেরে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করে। ঘটনাটি সামনে (Panskura) আসতেই গ্রামে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
নিহতের (Panskura) মা সুমিত্রা দাস কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমার বুক খালি হয়ে গেছে। আমি আমার ছেলেকে আর ফেরত পাব না। আমার ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিত। আমি ওর শাস্তি চাই।” ঘটনার সূত্রপাত হয় একটি চিপসের প্যাকেটকে ঘিরে। দোকানদার শুভঙ্কর দীক্ষিত — যিনি একজন সিভিক ভলান্টিয়ারও — নাবালক ছেলেটিকে চুরি করেছে বলে অপবাদ দেন।
পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, চিপসের প্যাকেটটি দোকানের সামনেই পড়ে ছিল এবং ছেলেটি চুরি করেনি। তবুও শুভঙ্কর নাবালককে চোর অপবাদ দিয়ে মারধর করেন ও কান ধরে উঠবস করান। অপমান সহ্য করতে না পেরে ছেলেটি কীটনাশক খায়। তমলুক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিশুটির মৃত্যুর পর গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে শুভঙ্করের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান এবং দোকান ভাঙচুর করেন। পুলিশের সঙ্গে বচসা হয়, এরপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ এবং ৬ জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করা হয়।
সুমিত্রা দেবী বলেন, “আমার ছেলে বলেছিল, মা আমি চুরি করিনি। কিন্তু ওর মুখ বন্ধ করে দেওয়া হল অপমান আর ভয় দেখিয়ে। ৩ টাকার চিপসের দামে আমার সন্তানকে হারালাম।”
অন্যদিকে, অভিযুক্ত শুভঙ্করের বাবা দাবি করেছেন, “আমার ছেলে নির্দোষ। ওকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাদের দোকানে তালা মেরে হুমকি দেওয়া হয়েছে।” শুভঙ্করের স্ত্রী নিশা বলেন, “২০০-২৫০ জন এসে দোকান ঘেরাও করে। ওরা আমাদের বাচ্চাদেরও নিতে চায় বলে হুমকি দেয়। এখন প্রাণের ভয় পাচ্ছি।”