Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • “চিপস চুরি” বলে গোটা গ্রামে হেনস্তা, সিভিক নয়, ছাত্রের মৃত্যুর পেছনে আসল নাম কি শ্যামাপদ ভুঁইঞা?
জেলা

“চিপস চুরি” বলে গোটা গ্রামে হেনস্তা, সিভিক নয়, ছাত্রের মৃত্যুর পেছনে আসল নাম কি শ্যামাপদ ভুঁইঞা?

Email :19

সপ্তম শ্রেণির ছাত্র কৃষ্ণেন্দু দাসের আত্মহত্যা নিয়ে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে (Panskura)। মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগের তীরে সোজা সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিতের দিকে। আবার অভিযুক্ত সিভিকের পরিবারও গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে (Panskura)। এই ঘটনার তদন্তে নেমে এখনো পর্যন্ত পুলিশের হাতে এসেছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র— একটি হাতে লেখা চিঠি এবং একটি সিসিটিভি ফুটেজ। আর তাতেই জটিল হয়ে উঠছে আত্মহত্যার রহস্য v।

ঘটনার দিন, গ্রামের মাঠে কাজ করছিলেন কৃষ্ণেন্দুর মা সুমিত্রা দাস (Panskura)। সেই সময় হঠাৎই গ্রামের এক পরিচিত ব্যক্তি, শ্যামাপদ ভুঁইঞা ছুটে এসে তাঁকে জানান, “তোমার ছেলেকে চিপস চুরির অভিযোগে ধাওয়া করছে এক দোকানদার।” এই খবরে আতঙ্কিত হয়ে দোকানে যান মা। তারপর যা ঘটেছে, তার একটি ভিডিও ফুটেজ উঠে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মা নিজেই ছেলেকে চড় মারছেন, ধমক দিচ্ছেন। পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর, যিনি কৃষ্ণেন্দুকে সামলাচ্ছেন বলে দাবি করছেন (Panskura)।

তবে গোটা ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দিচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের কিছু বক্তব্য এবং অভিযুক্ত ও মৃত ছাত্র— উভয় পরিবারের আঙুল একটি নতুন নামের দিকে। তিনি হলেন শ্যামাপদ ভুঁইঞা, যাঁকে স্থানীয়রা “এলাকার জামাই” বলেই চেনেন।

কৃষ্ণেন্দুর পরিবারের মতে, গুজব এবং অপবাদ ছড়ানোর গোড়াতেই ছিলেন এই শ্যামাপদ। তিনি প্রকাশ্যে কৃষ্ণেন্দুর মাকে অপমান করে বলেন, “তোমার ছেলে চুরি করেছে।” এরপরই গোটা গ্রামে রটিয়ে দেন যে কৃষ্ণেন্দু একটি চিপসের প্যাকেট চুরি করেছে। কৃষ্ণেন্দুর মা বলেন, “আমার ছেলে হয়তো কুড়িয়েছিল নিচে পড়া চিপসটা। দোকান থেকে নেয়নি। আমি না বুঝে ওকে মেরেছি। কিন্তু ওকে পুরো গ্রামজুড়ে চোর বলেছে শ্যাম। আমার ছেলেটা ওই অপমান সহ্য করতে পারেনি।”

এই অভিযোগে সুর মিলিয়েছে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্করের পরিবারও। তাঁর স্ত্রী বলেন, “আমার স্বামী কাউকে কিছু বলেনি। শ্যাম নিজেই কৃষ্ণেন্দুর বাবা-মাকে গিয়ে বলেছিল ও চুরি করেছে। তারপর সব গন্ডগোল। এখন সব দোষ আমাদের ঘাড়ে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts