Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • চিৎকার করেও বাঁচানো গেল না! বাড়ির নিচে চাপা পড়ে ছেলের মৃত্যু দেখে ভেঙে পড়লেন মা — পানিহাটিতে কান্নার রোল!
জেলা

চিৎকার করেও বাঁচানো গেল না! বাড়ির নিচে চাপা পড়ে ছেলের মৃত্যু দেখে ভেঙে পড়লেন মা — পানিহাটিতে কান্নার রোল!

old house collapsed
Email :21

উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে (Panihati) ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। সতর্কবার্তা সত্ত্বেও জরাজীর্ণ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন দেবকুমার শ্রিমানি। গভীর রাতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সেই বাড়ির একাংশ। ধ্বংসস্তূপের (Panihati) নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল ওই ব্যক্তির। মৃত দেবকুমারের বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। ঘটনা ঘটে পানিহাটি পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে, এমএন চট্টোপাধ্যায় রোডে।

স্থানীয় সূত্রে (Panihati) জানা গেছে, বহুদিন ধরেই বাড়িটি বসবাসের অযোগ্য অবস্থায় ছিল। বাড়িটি দেবকুমার ও তাঁর দুই ভাইয়ের যৌথ সম্পত্তি (Panihati)। এক ভাই অন্যত্র থাকলেও দেবকুমার ও তাঁর মেজভাইয়ের পরিবার এই বিপজ্জনক বাড়িতেই দিন কাটাচ্ছিলেন। স্থানীয় কাউন্সিলর থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরা বারবার সতর্ক করেছিলেন, অনুরোধ করেছিলেন বাড়ি খালি করে দিতে (Panihati)। শুক্রবার সকালেও বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়েছিল, তবু ওই রাতে দেবকুমার সেই ঘরেই ঘুমান।

রাত প্রায় ২টো নাগাদ ঘটে বিপত্তি। বিকট আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় আশপাশের মানুষের। ছুটে আসেন তাঁরা। দেখা যায়, যে ঘরে দেবকুমার ঘুমোচ্ছিলেন, সেই অংশটাই সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে (Panihati)। দ্রুত খবর যায় খড়দহ থানায়। উদ্ধারকাজ শুরু করে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা। ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হলেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

মৃতের বৌদি ভারতী শ্রিমানি কেঁদে বলেন, “আমরা বুঝতেই পারিনি ও ঘরের নিচে পড়েছে। তখনও বিশ্বাস হচ্ছিল না।” জানা গিয়েছে, বহুবার প্রোমোটাররা ওই বাড়ি কেনার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, ভাইদের মধ্যে মতবিরোধ থাকায় সিদ্ধান্ত হয়নি। বাড়ি থেকে বের হওয়ার কথাও ভাবা হয়েছিল, কিন্তু সময় শেষ হয়ে যায় তার আগেই।

স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, “বাড়িটি অত্যন্ত পুরনো ও বিপজ্জনক ছিল। সকালের দিকেই একটা অংশ ভেঙেছিল। তার পর রাতেই এই ট্র্যাজেডি। সবাই মিলে অনেক চেষ্টা করেও দেবকুমারকে বাঁচানো গেল না।”

স্থানীয় (Panihati) তৃণমূল কাউন্সিলর ঝরনা বন্দ্যোপাধ্যায় দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, “আমি বহুবার বলেছিলাম ওখানে আর না থাকতে। ওঁর বন্ধুরাও গতকাল সতর্ক করেছিলেন, কারণ সকাল থেকেই আওয়াজ হচ্ছিল। কিন্তু জোর করেই ঘুমিয়েছিলেন ও। আর সেই ঘুমই চিরঘুম হয়ে গেল।”

ভবনের হুঁশ না থাকলে প্রাণ যেতে পারে — পানিহাটির এই ট্র্যাজেডি যেন আরেকটা সতর্কবার্তা শহরবাসীর কাছে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts