অবশেষে পানিহাটির (Panihati) তরুণী নির্যাতনকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ থাকা আরিয়ানকে বুধবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার গল্ফগ্রিন এলাকা থেকে পাকড়াও করে হাওড়া পুলিশ। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, গল্ফগ্রিনে (Panihati) এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে ছিলেন তিনি। তদন্তকারী দল মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে সঠিক অবস্থান শনাক্ত করে এবং চারদিক ঘিরে তাকে ধরে ফেলে।
তাঁর সঙ্গে আরও একজনকে (Panihati) গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি, আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত শ্বেতা খানের মাকেও। তবে এখনও পর্যন্ত শ্বেতা নিজে অধরা। পুলিশ মনে করছে, আরিয়ানের জেরা থেকেই শ্বেতার অবস্থান জানা যাবে।
তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হাওড়ার বাকড়ায় বাড়ি শ্বেতা খান ও তার ছেলে আরিয়ান খানের (Panihati) । অভিযোগ, তাঁরা পর্নোগ্রাফি বানানোর বেআইনি ব্যবসা করতেন। তাদের নামে একটি প্রোডাকশন হাউস ছিল বলেও দাবি। বাড়ির মধ্যেই শ্যুটিং চলত, এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তরুণীদের সামাজিক মাধ্যমে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত, তারপর জোর করে পর্নো ভিডিওতে অভিনয় করানো হত বলে অভিযোগ। পুরো বিষয়টি শ্বেতা নিজে তদারকি করতেন, আরিয়ান তরুণীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত (Panihati) ।

পানিহাটির (Panihati) নির্যাতিতা তরুণীর ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তাঁকে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয়। তরুণী অভিযোগ করেছেন, তাঁকে পর্নো ভিডিওতে অভিনয় করতে বাধ্য করার চেষ্টা করা হয়েছিল, রাজি না হওয়ায় আটকে রেখে মারধর করা হয়। পরে শ্বেতার মায়ের সহায়তায় কোনওক্রমে পালিয়ে আসেন তিনি। বর্তমানে ওই তরুণী সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজের আইসিসিইউ-তে ভর্তি, মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শ্বেতার রাজনৈতিক মদত (Panihati) ছিল। তাই দিনের পর দিন এই বেআইনি কার্যকলাপ চালিয়েও কেউ বাধা দেয়নি। জানা গিয়েছে, শ্বেতা প্রতিবছর একাধিকবার বিদেশ সফরে যেতেন, বিশেষ করে ব্যাংকক। তাই শ্বেতা কি ইতিমধ্যেই বিদেশে পালিয়েছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
তবে পুলিশ আশা করছে, আরিয়ানের গ্রেফতারির পর তদন্তে নতুন দিশা আসবে এবং খুব শীঘ্রই শ্বেতাকেও আটক করা সম্ভব হবে।