পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) পর দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি (Pahalgam Attack)। এই পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Pahalgam Attack)। চূড়ান্ত সতর্কতায় রয়েছে বায়ুসেনা ও সেনাবাহিনী (Pahalgam Attack)।
বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ‘চিকেন নেক’ করিডর অর্থাৎ শিলিগুড়ি করিডরে, যেটি চারটি দেশের সংযোগস্থল — চিন, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশ। কৌশলগত দিক থেকে এই অঞ্চল অত্যন্ত স্পর্শকাতর, আর তাই এই এলাকায় রাফালে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে মহড়া শুরু করেছে হাসিমারা ও বাগডোগরার বায়ুসেনা ঘাঁটি। একটি রাফালে ইতিমধ্যেই উড়ে গেছে দেশের উত্তরের এক গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটির দিকে, প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক মোতায়েনের জন্য রাখা হচ্ছে প্রস্তুত।
সূত্রের খবর, বায়ুসেনার ইস্টার্ন কমান্ডের অধীনে থাকা গুয়াহাটি, হাসিমারা ও বাগডোগরা-র মতো ঘাঁটিগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে। একইভাবে সেনার সুকনা ও সিকিমে অবস্থিত ত্রি-শক্তি কর্পসকেও হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে।
সীমান্ত নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখা যাবে না, এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে। সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হওয়ায় সীমান্তে বিএসএফ ও সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে প্রতিটি সীমান্ত ও সংবেদনশীল এলাকাকে ঘিরে বায়ুসেনা ও সেনার মধ্যে সম্পূর্ণ সমন্বয় ও প্রস্তুতি বজায় রাখা হচ্ছে, যাতে কোনও ধরনের সুরক্ষা ভেদ করে জঙ্গিরা প্রবেশ করতে না পারে।