দুর্গাপুর গণধর্ষণ-কাণ্ডে নতুন বিতর্ক। নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে এসে বাধার মুখে পড়লেন ওড়িশা মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা (Durgapur Rape Case)। বর্তমানে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নির্যাতিতা ডাক্তারি পড়ুয়া। সোমবার দুপুরে তাঁর শারীরিক অবস্থা ও ঘটনার বিস্তারিত জানতে সেখানে পৌঁছান ওড়িশা মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা।
কিন্তু হাসপাতালের গেটেই তাঁদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। কর্মীরা জানান, হাসপাতালে এই মুহূর্তে রয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস , তাই বাইরে অপেক্ষা করতে হবে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় প্রতিনিধি দলকে।
এক সদস্য ক্ষোভের সঙ্গে (Durgapur Rape Case) বলেন, “আমার রাজ্যের মেয়ের সঙ্গে এমন নৃশংস আচরণ হয়েছে। আমরা দেখা করতে এসেছি, কিন্তু আমাদের ঢুকতেই দেওয়া হচ্ছে না। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে, এটা অপমানজনক।”
ওই সময় হাসপাতালের ভেতরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নির্যাতিতার (Durgapur Rape Case) সঙ্গে দেখা করেন ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। সাংবাদিকদের তিনি জানান, “আমি আক্রান্ত ও তাঁর পরিবারের ব্যথা বুঝতে পারছি। যারা এই জঘন্য কাজ করেছে, তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে।” রাজ্যপাল আরও বলেন, “আমি সরাসরি নির্যাতিতার কাছ থেকে ঘটনাটি জানতে চাই। তারপরই মন্তব্য করব রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে।”
পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে, যাদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তবে রাজ্যজুড়ে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari) দাবি করেছেন, মূল অভিযুক্ত তৃণমূল ক্যাডার। তাঁর বক্তব্য, “আজ যে গ্রেফতার হয়েছে, সে দুর্গাপুর পুরনিগমের অস্থায়ী কর্মী এবং তৃণমূলের সদস্য। তাঁর বাবা পার্টির পদাধিকারী।”
রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আরও তীব্র হচ্ছে। ওড়িশা মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এমন আচরণ প্রশাসনিক সংবেদনশীলতার ঘাটতিও প্রকাশ করছে বলে মন্তব্য অনেকের।