SIR (State Identification Register) প্রক্রিয়া ঘিরে কেন্দ্রকে ফের একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জন্ম শংসাপত্রের বাধ্যবাধকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি জানান, এটা আসলে নতুন করে এনআরসি চালু করারই ষড়যন্ত্র! বৃহস্পতিবার বীরভূমে আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে কড়া বার্তা দেন মমতা (Mamata Banerjee)।
তিনি (Mamata Banerjee) বলেন, “২০০৪ সালের পর যারা জন্মেছে, তাদের বাবা-মায়ের জন্ম শংসাপত্র চাওয়া হচ্ছে। বলুন দেখি, এটা কতটা বাস্তবসম্মত? গরিব মানুষের পক্ষে এটা সম্ভব? আমি যখন ক্ষমতায় আসি, তখন মাত্র ৬০ শতাংশ মানুষের জন্ম শংসাপত্র ছিল। এখন বলছে বাবা-মায়েরও সার্টিফিকেট লাগবে! তাহলে যাদের হোম ডেলিভারিতে জন্ম হয়েছে, শুধু স্কুলের সার্টিফিকেট আছে—তারা কোথায় দাঁড়াবে? যারা আইন করছে, তাদের কাছে কি এসব কাগজপত্র আছে?”
মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) কটাক্ষ, “ওরা তো সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছে। খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট ওরা কী করে বুঝবে!”
তিনি (Mamata Banerjee) ফের সতর্ক করে বলেন, “এসআইআর ফর্ম না জেনে-বুঝে কেউ যেন ফিল আপ না করেন। এটা এনআরসির ছদ্মরূপ। এটা নাম তোলার নতুন ফাঁদ হতে পারে। ওদের অন্য পরিকল্পনা আছে। বলা উচিত কি না জানি না, তবে এটা একটা নতুন করে নাম তোলার চক্রান্ত।” মমতার ইঙ্গিত, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভবিষ্যতে অনেকের নাম বাদ দেওয়ার ভিত্তি তৈরি করা হচ্ছে।
এদিন সরকারি আধিকারিকদের সাসপেন্ড করার সুপারিশ নিয়েও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন তোলেন, “নির্বাচনের আগে কোন আইন বলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? এই ধরনের পদক্ষেপ কি গণতন্ত্রে গ্রহণযোগ্য?”
এই বক্তব্যে ফের একবার এনআরসি বিরোধী অবস্থানকে জোরালো করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গে কোনও অবস্থাতেই এনআরসি বা এনপিআর চালু হতে দেওয়া হবে না।