উত্তরবঙ্গে ফের ভয়াবহ সড়কদুর্ঘটনা (North Bengal Accident)। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা রাস্তায় আবারও থামল দু’টি প্রাণ। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে ১১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়ে একটি যাত্রীবাহী গাড়ি (North Bengal Accident)। রাত নামার মুখে, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে আটটার মধ্যে সোনাদা সংলগ্ন ৮ মাইল এলাকায় আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারায় গাড়িটি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জন যাত্রীর। আরও ছয়জন গুরুতর আহত হন। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে সোনাদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েক জনকে স্থানান্তর করা হয় দার্জিলিং সদর হাসপাতালে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা সঙ্কটজনক বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।
দুর্ঘটনার (North Bengal Accident) খবর পেয়েই তৎপরতা শুরু করে পুলিশ ও দমকল। জোরবুঙ্গলো থানা, সোনাদা পুলিশ ফাঁড়ি, ট্রাফিক পুলিশ এবং দমকল বাহিনী স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে রাতেই উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পাহাড়ি রাস্তায় খাড়া ঢাল এবং অন্ধকারে পথ চলা— সব মিলিয়ে উদ্ধারকাজ ছিল অত্যন্ত জটিল (North Bengal Accident)। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জিটিএ-র উপ-চেয়ারম্যান রাজেশ চৌহান, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান দিবস ছেত্রী এবং কর্মাধ্যক্ষ বাবিন্দ্র রায়-সহ প্রশাসনের অন্যান্য প্রতিনিধিরা। আহতদের পাশে দাঁড়ান, চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তাঁরা।
এই রাস্তায় দুর্ঘটনা নতুন নয়। পাহাড়ি রাস্তার ধারাবাহিক বাঁক, কুয়াশা, অল্প আলো— বিপদের সঙ্গী হয়ে থাকে প্রতিদিনই। কয়েক দিন আগেই মিরিকের পুটুং রোডের নলডারা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ১৫০ ফুট গভীর খাদে পড়েছিল নেপাল-গামী একটি ছোট বাস। সেখানে মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের, আহত হয়েছিলেন বহু যাত্রী। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, অতিরিক্ত গতি এবং বাঁক বিপজ্জনক ভাবে কাটতে গিয়ে ঘটে যাচ্ছে এমন দুর্ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ (North Bengal Accident), পাহাড়ি এলাকায় ট্রাফিক নজরদারি আরও বাড়ানো প্রয়োজন। বিশেষত শীতের মরসুমে, যখন পাহাড়ে দ্রুত নামে অন্ধকার, সেই সময় পর্যটক ও ড্রাইভারদের সাবধান না করলে বারে বারে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
উত্তরবঙ্গের পর্যটন মরশুমের মাঝেই এমন দুর্ঘটনা আবারও আতঙ্ক ছড়িয়েছে পাহাড় জুড়ে। তদন্ত করছে পুলিশ। কী ভাবে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারাল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতদের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি।







