রাজ্যের রাজনীতির অন্যতম আলোচিত কেন্দ্র নন্দীগ্রাম (Nandigram)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাসে এই কেন্দ্রের নাম অনিবার্য। ২০২১ সালে এখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়ে রাজনৈতিক চমক দেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকেই এই কেন্দ্র কার্যত বিরোধী দলনেতার দুর্গে পরিণত হয়েছে (Nandigram)। কিন্তু সেই দুর্গেই এবার নতুন করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বুধবার নন্দীগ্রামে (Nandigram) তৈরি হল নতুন সাংগঠনিক গঠন— ব্লক সভাপতি পদ তুলে দিয়ে গঠিত হয়েছে কোর কমিটি। সূত্রের খবর, ঠিক বীরভূম মডেলেই এবার নন্দীগ্রামেও (Nandigram) দল চালাবে কোর কমিটি। নন্দীগ্রাম ব্লক ওয়ানে আগের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন তৃণমূলের পুরনো যোদ্ধা শেখ সুফিয়ান। একইভাবে সামসাবাদ ও সোনাচুরা অঞ্চলেও তৈরি হয়েছে কোর কমিটি।
দলের অন্দরমহলে কান পাতলে জানা যাচ্ছে, এই সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ রয়েছে নতুন-পুরনো নেতাদের ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব (Nandigram)। সম্প্রতি নবাগতদের হাতে দায়িত্ব যাওয়া নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল পুরনো কর্মীদের মধ্যে। তৃণমূল নেতৃত্ব আশঙ্কা করছিল, এই গোষ্ঠীকোন্দল সামনের ভোটে বড় ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। তাই দুই গোষ্ঠীর ভারসাম্য রেখেই তৈরি হয়েছে কোর কমিটি।
রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, ভোটের মাত্র কয়েক মাস আগে এমন তড়িঘড়ি সাংগঠনিক বদল কেন (Nandigram)? সূত্রের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর প্রভাব এলাকায় এখনও প্রবল। সেই প্রভাব কাটাতেই নতুনভাবে শক্তি সঞ্চয়ের কৌশল নিয়েছে তৃণমূল।
দলের একাংশ বলছে, “নন্দীগ্রাম (Nandigram) মানেই শুভেন্দু।” তাই এই কেন্দ্রে কোনও ভুল পদক্ষেপ মানে বিরাট রাজনৈতিক বিপর্যয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে পরের ভোটে এখান থেকে লড়বেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তৃণমূল নিশ্চিত করতে চায়— শুভেন্দুর ঘাঁটিতে এবার আর কোনও সুযোগ দেওয়া হবে না।
বিজেপির দাবি, তৃণমূলের এই সিদ্ধান্ত আতঙ্কের ফল। বিজেপির জেলা নেতৃত্বের মন্তব্য— “তৃণমূল জানে, শুভেন্দু যেখানে দাঁড়ান, সেখানে ওদের কোনও সংগঠন নেই। তাই ভোটের আগে নাটকীয় রদবদল করে ভয় ঢাকছে।”
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নন্দীগ্রামের কোর কমিটি গঠন শুধুমাত্র সাংগঠনিক রদবদল নয়— এটি আসন্ন নির্বাচনের জন্য ‘স্ট্র্যাটেজিক কাউন্টার অ্যাটাক’। শুভেন্দুর ঘাঁটিতেই এবার ‘বীরভূম মডেল’ প্রয়োগ করে মাঠে নামছে তৃণমূল।










