দু’বছরের ফুটফুটে মেয়েকে বুক থেকে ছিঁড়ে নিলেন খোদ মা (Nadia)! ভালোবাসার টানে সন্তানের জীবন বলি দিলেন বলে অভিযোগ (Nadia)। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় স্তব্ধ নদিয়ার পলাশিপাড়া থানার ধাওয়াপাড়া গ্রাম। প্রেমিকের সঙ্গে সংসার করতে চেয়ে, তারই শর্ত মেনে নিজের কন্যাসন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করলেন মা—অভিযোগ তেমনই। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে মা ও তার প্রেমিক, এলাকায় রীতিমতো ক্ষোভের আগুন (Nadia)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধাওয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রাহুল শেখ একাধিকবার বিবাহ করেছেন। আগের স্ত্রী ও সন্তানদের তাড়িয়ে দিয়ে বর্তমানে দ্বিতীয় স্ত্রী ও এক সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছিল সে (Nadia)। এই অবস্থায় তার সঙ্গে পরিচয় হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানার উত্তর কুসুম দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা মিনা খাতুনের। ঘনিষ্ঠতা বাড়তেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দিন সাতেক আগে, মিনা নিজের দু’বছরের কন্যাসন্তান লামিয়া খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর ঘর ছেড়ে পলাশিপাড়ায় চলে আসে রাহুলের কাছে। শুরু হয় এক নতুন সংসার (Nadia)।
কিন্তু সেই সংসার গড়ার পথেই কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় ছোট্ট লামিয়া (Nadia)। পুলিশি জেরায় জানা যায়, রাহুল স্পষ্ট জানিয়ে দেয়—তাদের সংসারে জায়গা পাবে না এই শিশু। মিনাকে সে শর্ত দেয়, যদি লামিয়াকে খুন করে দেয়, তবেই সে তাকে গ্রহণ করবে স্ত্রী হিসেবে। স্বামীর ঘর ত্যাগ করে আসা মিনা তখন নিরুপায়। সন্তানকে বাঁচাতে চেষ্টার চিহ্নমাত্রও ছিল না। বরং অভিযোগ, রাহুলের নির্দেশে সে নিজেই কন্যার শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
বুধবার সন্ধ্যায় এলাকায় তারা জানায়, ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে লামিয়ার। কিন্তু শিশুর মৃতদেহ দেখে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তারা খবর দেন পুলিশে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে এবং রাহুল ও মিনাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে এই বিভীষিকাময় সত্য বেরিয়ে আসে। এরপরেই গ্রেপ্তার করা হয় দু’জনকে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে বৃহস্পতিবার তেহট্ট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। শিশুটির দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না-তদন্তে।
এই ঘটনার পর পুরো ধাওয়াপাড়া জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে। এক মা কিভাবে নিজের সন্তানের কণ্ঠরোধ করতে পারেন, সেই প্রশ্নেই গর্জে উঠেছে গোটা গ্রাম।