নদিয়া (Nadia) জেলায় এক হৃদয়বিদারক ঘটনা সামনে এসেছে। শান্তিপুর থানার নৃসিংহপুর বাবলাবন এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোরে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল ৩০ বছরের এক যুবকের দেহ। মৃতের নাম বাপন বিশ্বাস (Nadia)। ভোরে পরিবারের লোকজন ঘরের ভেতরে তাঁকে ঝুলতে দেখে চিৎকার শুরু করলে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে শান্তিপুর (Nadia) স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকেরা জানান, বাপন ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন। এরপর পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
পরিবারের অভিযোগ, মৃত্যুর আগে বাপন একটি ডায়রিতে লাল কালি দিয়ে তিন পাতাজুড়ে নিজের যন্ত্রণার কথা লিখে গিয়েছিলেন (Nadia)। সেই লেখার মধ্যেই বারবার উঠে এসেছে এক তরুণীর নাম—অর্পিতা। সেখানে প্রেম ভাঙার কষ্ট, হতাশা এবং বেদনার কথা স্পষ্টভাবে লিখে রেখেছিলেন তিনি। এমনকি শেষ পাতায় ছিল একটি হৃদয়বিদারক বার্তা— “অর্পিতা চিরবিদায়।” পরিবারের ধারণা, অর্পিতার (Nadia) সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনই তাঁকে শেষ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।
বাপন ধানের গোলায় কাজ করতেন। বাইরে থেকে সাধারণ জীবন যাপন করলেও, ভিতরে ভিতরে তিনি মানসিক চাপে ভুগছিলেন বলে অনুমান করছে পরিবার ও পুলিশ। পরিবারের হাতে থাকা ডায়রিটি ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। শান্তিপুর থানার পুলিশ সেই ডায়রি এবং পরিবারের বয়ান খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
প্রেম, হতাশা আর মৃত্যুর মর্মান্তিক মিলন ঘটেছে এই ঘটনায়। এখন প্রশ্ন উঠছে— বাপনের আত্মহত্যার নেপথ্যে কি শুধুই প্রেমের টানাপোড়েন দায়ী, নাকি এর আড়ালে লুকিয়ে আছে আরও কোনও রহস্য?
এই ঘটনাকে ঘিরে নেটদুনিয়া উত্তাল। অনেকে বলছেন— ভালোবাসা যদি জীবন দিতে না পারে, তবে কেন এমনভাবে জীবন কেড়ে নেয়?