নদীর দু’পারে ছড়িয়ে রয়েছে কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র (Nadia)। আগামী ১৯ জুন এখানে উপ-নির্বাচন। তার আগে শুরু হয়ে গেছে বিতর্ক। এবার বড় অভিযোগ সামনে এনেছে বিরোধীরা। অভিযোগ, ভোটের (Nadia) ব্যালট বক্স বা ইভিএম নদী পেরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় মাঝপথেই ‘ছাপ্পা’ পড়ে যাচ্ছে! অর্থাৎ, ভোটে (Nadia) জালিয়াতি হচ্ছে বলেই অভিযোগ করেছেন এলাকার কিছু ভোটার ও বিজেপি নেতারা।
কালীগঞ্জ কেন্দ্রের (Nadia) এক অংশ পড়ে নদিয়া জেলায়, আর অন্য অংশ পড়ে পূর্ব বর্ধমান জেলায়। মাঝখানে রয়েছে ভাগীরথী নদী। তাই ভোটের দিন বা তার পরে ভোটকর্মীদের ব্যালট বা ইভিএম নিয়ে নদী পেরিয়ে আসতে হয়। সঙ্গে থাকে পুলিশ ও সরকারি আধিকারিকেরা।
কিন্তু বিজেপির দাবি, নদী পার হওয়ার সময়েই কারচুপি করা হয়। ভোট শেষ হওয়ার পর ফেরার পথে ইভিএম বা ব্যালট বদলে দেওয়া হয়। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি উপেন সরকার দাবি করেছেন, শাসকদল ঘনিষ্ঠ পুলিশ ও প্রশাসন জেনেও কিছু করছে না।
তাঁর অভিযোগ,“নদী পারাপারকেই সুযোগ বানিয়ে ভোট লুঠ হচ্ছে। ছাপ্পা পড়ছে, গণনায় গন্ডগোল হচ্ছে।” এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা গোপাল চন্দ্র মজুমদার এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি,
“বিজেপি বুঝে গেছে ওরা হেরে যাবে। তাই মিথ্যে কুৎসা রটিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নের মুখে ফেলার চেষ্টা করছে।”
ভৌগলিক জটিলতার জন্য নয়াচর গ্রামের ভোটকেন্দ্র নদিয়ার হলেও, ওই গ্রাম কাটোয়ার খুব কাছেই অবস্থিত। নদী পেরিয়ে যেতে হয় ভোটকর্মীদের। এই অঞ্চলেই বারবার অভিযোগ উঠছে কারচুপির।