মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান ও সুতি—গত তিন সপ্তাহে এই এলাকাগুলি অশান্তির আগুনে ঝলসে উঠেছিল। ওই হিংসার (Murshidabad) ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে ইতিমধ্যেই এসেছেন রাজ্যপাল ও বিরোধী দলনেতা। এবার অগ্নিগর্ভ সেই অঞ্চলগুলিতে (Murshidabad) যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার মুর্শিদাবাদ পৌঁছে মঙ্গলবার তিনি সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন অশান্তিপ্রবণ এলাকাগুলি। তবে তার আগেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল জাফরাবাদ। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই এলাকাটিও সাম্প্রতিক অশান্তির মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল। যেখানে এক বাবা ও ছেলের খুনের ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছিল।
সোমবার সেই জাফরাবাদেই পুলিশের ভূমিকা ঘিরে চরম ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। অভিযোগ, ওই মৃত বাবা-ছেলের ফাঁকা বাড়িতে রাতের অন্ধকারে তালা ভেঙে ঢোকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ। শুধু তাই নয়, কেউ যেন কিছু বুঝতে না পারে, সে জন্য আশেপাশের কয়েকটি বাড়ির প্রধান দরজায় বাইরে থেকে শিকল দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, পুলিশ ওই বাড়ির সামনে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরাও বন্ধ করে দেয়, বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগও। অভিযোগ, পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখাতে পুলিশ রাতের অন্ধকারে বাড়ির ভাঙা দরজা মেরামত করে দেয়।
এতেই ফের ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। এক স্থানীয় বাসিন্দার প্রশ্ন, “যদি দরজা সারাতে হতো, সেটা দিনের আলোতেই করা যেত। রাতে লুকিয়ে লুকিয়ে এসব করার কী দরকার ছিল?”
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের ঠিক আগে এমন ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে।