নদিয়ার চাপড়ায় এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডে (Murder) রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কর্মরত মঞ্জুলা দাস নামে এক মহিলাকে খুন (Murder) করা হয়েছে ঘরের মধ্যেই। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার রাতে মঞ্জুলা দেবী একাই ছিলেন নিজের বাড়িতে। বয়স প্রায় ৫৫ বছর। তাঁর স্বামী স্থানীয় একটি পেট্রল পাম্পে কাজ করেন এবং সেদিন রাতে তাঁর নাইট ডিউটি ছিল। ফলে বাড়িতে তখন কেউ ছিল না। এই সুযোগেই সম্ভবত হামলা চালানো হয় (Murder)।
পরের দিন সকালে যখন মঞ্জুলা দেবী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে হাজির হননি, তখন সহকর্মীরা খোঁজ নিতে যান। সেখানেই দেখা যায়, ঘরের ভিতরে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় অর্ধনগ্ন হয়ে পড়ে আছেন। গোটা ঘরজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে রক্ত। বিছানায় ও মেঝেতে রক্তের দাগ স্পষ্ট। খাটের পাশে পাওয়া গেছে একটি লোহার রড, যেটি খুনে ব্যবহৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘরে ছিল খোলা মদের বোতলও। ঘটনাস্থলের ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে এবং ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
ঘটনাস্থলে আনা হয় পুলিশ কুকুর। আশপাশের দোকান ও রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ওই বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়েছে তদন্তের স্বার্থে।
এদিকে, ঘটনার পর থেকেই নিহত মহিলার স্বামীকেও পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তাঁকে খুঁজে পায় পুলিশ এবং এখন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, তিনি কিছু জানেন বা তাঁর যোগ থাকতে পারে। যদিও এখনও কিছু নিশ্চিত নয়। পুলিশ খতিয়ে দেখছে—এই খুন শুধুই ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে, না কি এর পেছনে রয়েছে আরও গভীর কোনও রহস্য?
কে বা কারা, কী উদ্দেশ্যে একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে এমন নির্মমভাবে খুন করল—তা খুঁজে বের করতে জোরদার চেষ্টা চালাচ্ছে তদন্তকারী দল। পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এই ঘটনায়।