Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • জেলা
  • বাংলায় কথা বললেই ‘বাংলাদেশি’? মুর্শিদাবাদের তিন পরিযায়ী শ্রমিক আটক অসমে, উত্তেজনা ছড়ালো দুই রাজ্যে
জেলা

বাংলায় কথা বললেই ‘বাংলাদেশি’? মুর্শিদাবাদের তিন পরিযায়ী শ্রমিক আটক অসমে, উত্তেজনা ছড়ালো দুই রাজ্যে

prison a
Email :6

মুর্শিদাবাদের তিন পরিযায়ী (Migrant Workers) শ্রমিককে বাংলাদেশি সন্দেহে অসমে আটক করা হয়েছে এবং ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় দুই রাজ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতিমধ্যেই তাঁদের মুক্তির জন্য পদক্ষেপ শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Workers) কল্যাণ পর্ষদও বিশেষভাবে এই বিষয়ে তৎপর হয়েছে।

ঘটনা প্রকাশ, গত ২২ অগস্ট নজরুল ইসলাম, সানাউর মল্লিক এবং জাহির শেখ জীবিকা নির্বাহের তাগিদে মুর্শিদাবাদ (Migrant Workers) থেকে অসমে যান। তারা নগাঁও জেলার হাইবোরগাও অঞ্চলে ফেরি করে কাজ করছিলেন। অভিযোগ, বাংলায় কথা বলার কারণে এলাকাবাসী তাদের সন্দেহ করে পুলিশে খবর দেয়। এরপরই অসম পুলিশ তিনজনকে আটক করে। ধৃতদের কাছ থেকে আধার কার্ড, ভোটার কার্ডসহ সব প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র থাকলেও পুলিশ তা মানেনি। সরাসরি তাঁদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়।

ধৃত শ্রমিকদের জন্য থানায় গিয়েছিলেন আরও কয়েকজন মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিক। তাদের অভিযোগ, দেড় লাখ টাকা দিলে তিনজনকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। খবরটি দ্রুত ধৃতদের পরিবারে পৌঁছায়। স্থানীয় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিষয়টি রাজ্যসভার সাংসদ ও পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলামের কাছে পৌঁছায়। তিনি জানান, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ শুরু করেছে এবং জেলা পুলিশ অসম পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে মুক্তির চেষ্টা চালাচ্ছে।

সামিরুল ইসলাম বলেন, “আমরা শ্রমিকদের পাশে আছি। তাদের ফিরিয়ে আনা এবং অসমে আইনি সাহায্য দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”

অসমে বিজেপি শাসিত সরকারের অধীনে ডিটেনশন ক্যাম্প নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল আগে থেকেই সরব। এবার পশ্চিমবঙ্গের তিন বাসিন্দা (Migrant Workers) একই ধরনের সমস্যার শিকার হলেন। আগামী সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। তাতে বিজেপি শাসিত রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর হওয়া অত্যাচার নিয়ে প্রস্তাব আনা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ বিষয়ে বক্তৃতা করবেন।

নজরুল, সানাউর এবং জাহিরের পরিবারের সদস্যরা চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী সদস্যদের আটক রাখায় সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তারা দ্রুত মুক্তি ও নিরাপদ ফেরার দাবি তুলেছেন। রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। শাসক দলের দাবি, শুধু ভাষা ও পরিচয়ের কারণে বাংলার শ্রমিকদের বাংলাদেশি বলে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।

মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলার তৃণমূল বিধায়ক মহম্মদ আলি বলেন, “অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে আমরা আগেও বাঙালি বিরোধিতার অভিযোগ তুলেছি। এই ঘটনা সেই অভিযোগের প্রমাণ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts