Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • জাল সার্টিফিকেটে ৪ বছর মেডিক্যাল কলেজে! কে এই জুহি কোলে? উঠছে ভয়াবহ প্রশ্ন
জেলা

জাল সার্টিফিকেটে ৪ বছর মেডিক্যাল কলেজে! কে এই জুহি কোলে? উঠছে ভয়াবহ প্রশ্ন

bankura a
Email :16

ভুয়ো এসটি শংসাপত্রের জোরে চার বছর ধরে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে (Medical College) ডাক্তারির পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন এক ছাত্রী। শেষ পর্যন্ত সেই প্রতারণার পর্দাফাঁস। বহিষ্কৃত হলেন চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী জুহি কোলে (Medical College) । শুধু বহিষ্কারই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে থানায় দায়ের হল প্রতারণার অভিযোগও।

২০২২ সালে নিট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এসটি (অনগ্রসর তপশিলি জনজাতি) সংরক্ষিত আসনে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন জুহি (Medical College) । তবে কলেজে ভর্তি নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর পদবী ও জাতিগত শংসাপত্র ঘিরে সন্দেহ দানা বাঁধে (Medical College) । শংসাপত্রটি জারি হয়েছিল উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের তরফে। বিষয়টি ঘিরে সন্দেহ তৈরি হওয়ায় শংসাপত্রটি যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয় জলপাইগুড়ির মহকুমা শাসকের দপ্তর ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরে (Medical College) ।

সম্প্রতি দুটি দফতর থেকেই জানানো হয়, জুহি কোলের জমা দেওয়া এসটি শংসাপত্র জাল। আর তার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন আদিবাসী সমাজের মানুষজন। কলেজ চত্বরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। দাবি ওঠে— অবিলম্বে ছাত্রীটিকে বহিষ্কার করতে হবে। অবশেষে চাপের মুখে স্বাস্থ্য ভবন থেকে নির্দেশ আসে— জাল শংসাপত্রের ভিত্তিতে ভর্তি হওয়া ছাত্রীকে বহিষ্কার করতে হবে।

বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ সেই নির্দেশ অনুসারে জুহি কোলেকে চতুর্থ বর্ষ থেকে বহিষ্কার করে এবং তাঁর বিরুদ্ধে বাঁকুড়া সদর থানায় প্রতারণার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২২ সালের শেষদিকে ভর্তি নেওয়ার সময় যে এসটি শংসাপত্র জমা দিয়েছিলেন ওই ছাত্রী, সেটিকে শুরু থেকেই সন্দেহজনক মনে হচ্ছিল। কিন্তু যাচাইয়ের জন্য দীর্ঘ সময় লেগে যায়, কারণ বিষয়টি রাজ্য স্তরে তদন্তাধীন ছিল।

এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে একাধিক। কিভাবে একজন ছাত্রী চার বছর ধরে জাল শংসাপত্রের ভিত্তিতে ডাক্তারির মতো গুরুত্বপূর্ণ পেশার শিক্ষা নিতে পারলেন? কাদের ছত্রছায়ায় এমন জালিয়াতি এতদিন ধরা পড়েনি? এর পিছনে কি কোনও সংঘবদ্ধ চক্র কাজ করছে? যদি তাই হয়, তাহলে রাজ্যের আরও কত ছাত্রছাত্রী ভুয়ো শংসাপত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে, সেই প্রশ্নও উঠে এসেছে।

বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু জানিয়েছেন, “২০২২ সালের শেষের দিকে ওই ছাত্রী ভর্তি হয়েছিলেন। প্রথমে দেওয়া সার্টিফিকেট দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনের নজরে আসে এবং তাদের তদন্তেই পরিষ্কার হয় সার্টিফিকেটটি ভুয়ো। নির্দেশ পেয়েই আমরা তাঁকে বহিষ্কার করেছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts