Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • বন্যা বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে ফের যাচ্ছেন দিদি! হাসিমারায় প্রশাসনিক বৈঠকে কড়া বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী
জেলা

বন্যা বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে ফের যাচ্ছেন দিদি! হাসিমারায় প্রশাসনিক বৈঠকে কড়া বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী

mamata banerjee 21 july
Email :3

উত্তরবঙ্গে ফের যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। একাধিক এলাকা এখনও জলের তলায়, ভেঙে পড়েছে রাস্তাঘাট ও সেতু, বহু মানুষ গৃহহীন। এই অবস্থাতেই আবারও উত্তরবঙ্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)।

জানা গিয়েছে, রবিবার সকালেই কলকাতা থেকে বিমানে রওনা হবেন তিনি (Mamata Banerjee)। সরাসরি পৌঁছবেন বাগডোগরা, সেখান থেকে দুপুর একটা নাগাদ আলিপুরদুয়ার জেলার হাসিমারা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে নামবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর হাসিমারার নীলপাড়া ফরেস্ট কমিউনিটি হলে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। মূল আলোচ্য বিষয় হবে বন্যা পরিস্থিতি, ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা এবং পুনর্গঠনের কাজ কতদূর এগিয়েছে তা খতিয়ে দেখা (Mamata Banerjee)।

সূত্রের খবর, বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী বন্যা বিধ্বস্ত কিছু এলাকায় স্বচক্ষে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখতে যেতে পারেন। সোমবার তাঁর মিরিকে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর পুজো কার্নিভাল শেষ করেই মুখ্যমন্ত্রী প্রথমবার গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গে। সেসময় নিম্নচাপের বৃষ্টিতে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের একাধিক জায়গায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বহু মানুষ প্রাণ হারান, ঘরবাড়ি ভেসে যায়, রাস্তাঘাট ভেঙে পড়ে। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন।

ফিরে আসার আগে তিনি জানিয়েছিলেন, “আমি আবারও যাব, দেখে আসব উদ্ধার ও পুনর্গঠনের কাজ ঠিকভাবে হচ্ছে কিনা।” সেই ঘোষণা মতোই রবিবার ফের যাচ্ছেন তিনি। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী খতিয়ে দেখবেন উদ্ধার ও পুনর্গঠনের কাজ কতটা এগিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে রাস্তা ও ব্রিজের মেরামতির কাজ কেমন চলছে, ত্রাণ পৌঁছচ্ছে কি না— সবই তাঁর নজরদারিতে থাকবে (Mamata Banerjee)।

এর আগে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিল, বন্যা চলাকালীন সময়েও মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় পুজো কার্নিভালে অংশ নিয়েছিলেন। এই সমালোচনার জবাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “একটা দুর্ঘটনা ঘটলে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা সময় দিতে হয় উদ্ধার কাজের জন্য। আমি যদি সেদিন যেতাম, তাহলে রেসকিউ বন্ধ হয়ে যেত। পুলিশ, দমকল— সবাইকে আমার নিরাপত্তা সামলাতে হতো। তখন মানুষের পাশে কে দাঁড়াত? বিপদের সময় রাজনীতি নয়, মানুষের পাশে থাকা সবচেয়ে জরুরি।”

সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে প্রশাসনের তরফে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গের মানুষ আশা করছেন, মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এবার ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজ আরও গতি পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts