বঙ্গজুড়ে বর্ষার অতিবৃষ্টিতে জলমগ্ন একাধিক এলাকা, আর সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে ডিভিসি (দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন)-র বাঁধ ছেড়ে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত। প্রশাসনকে আগাম কোনও সতর্কবার্তা না দিয়েই একের পর এক জল ছাড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, চন্দ্রকোণা, হুগলির আরামবাগের মতো বিস্তীর্ণ অঞ্চল। শহরের রাস্তাঘাট থেকে গ্রামীণ বসতভিটে— সর্বত্র এখন জল, আর সেই সঙ্গে দুঃসহ পরিস্থিতি।
এই পরিস্থিতিতে এবার দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ঘটনাস্থলে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সূত্রের খবর, আগামী ৫ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী ঘাটাল সফরে যেতে পারেন। তার আগেই তাঁর হুগলির আরামবাগে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। আরামবাগের পর তিনি (Mamata Banerjee) সরাসরি পৌঁছে যেতে পারেন পশ্চিম মেদিনীপুরের প্লাবন কবলিত ঘাটালে। সেখান থেকে ঝাড়গ্রামে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর, যেখানে ৬ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে হবে ‘ভাষা আন্দোলন’ ঘিরে একটি মিছিল।
চলতি বর্ষায় প্রায় প্রতিদিনই দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি হচ্ছে। শ্রাবণের এখনও অনেকটা বাকি থাকলেও বৃষ্টি ও জলছাড়ার কারণে ইতিমধ্যেই বহু এলাকা প্লাবিত। ডিভিসির আচমকা জলছাড়ার নিন্দা করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইঞা। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রের অধীনে থাকা ডিভিসি বছরের পর বছর ধরে রাজ্য প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখেই এই ধরণের জলছাড়া করে চলেছে, যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে (Mamata Banerjee)।
ঘাটালের দীর্ঘদিনের জলবন্দি পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধানের জন্য বহু আকাঙ্ক্ষিত ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’-এর কাজ রাজ্য সরকার নিজেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, কারণ কেন্দ্রীয় সরকার বারবার তা উপেক্ষা করেছে। কিন্তু প্রকল্পের পূর্ণ বাস্তবায়নে এখনও সময় লাগবে, আর সেই সময় পর্যন্ত ঘাটালবাসীর জন্য থেকে যাচ্ছে শুধু অপেক্ষা আর দুর্ভোগ (Mamata Banerjee)।
এই পরিস্থিতিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত সফর ঘাটালবাসীর কাছে আশার আলো হয়ে উঠতে পারে। বর্ষা আর প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার চাপে জর্জরিত মানুষ এখন মুখিয়ে আছেন মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের দিকে।