যাওয়ার কথা ছিল মিরিকে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বদলে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সফরসূচি। মঙ্গলবার সকালে সিদ্ধান্ত বদল করেন তিনি। পাহাড়ে ক্রমাগত বৃষ্টি ও ভূমিধসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দার্জিলিঙের সুখিয়াপোখরি (Sukhia Pokhari)। তাই মুখ্যমন্ত্রী এবার সেই এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, লাগাতার বর্ষণে পাহাড়ের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। এরই মধ্যে সুখিয়াপোখরির পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তাই কার্শিয়াং থেকে সড়কপথে ওই এলাকায় পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) । সেখানে তিনি যোগ দেবেন ত্রাণ শিবিরে, বিপর্যস্তদের পাশে দাঁড়াবেন এবং নিহতদের পরিবারের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেবেন। এরপর সেখান থেকে তিনি যাবেন দার্জিলিঙে।
উল্লেখ্য, সোমবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) গিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায়, যেখানে ভয়াবহ বন্যায় বহু মানুষের প্রাণ গেছে। সেখানে নিহত দশজনের পরিবারের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন তিনি। এবার পাহাড়ে এসে আরও একবার মানবিক বার্তা দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, পাহাড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ (GTA)। মঙ্গলবারই তারা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে দেবে পাহাড়ের ক্ষতির প্রাথমিক রিপোর্ট। সূত্রের খবর, এই ভয়াবহ বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে দার্জিলিঙ-কালিম্পং অঞ্চলে মোট প্রায় ৯৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সেই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবেন জিটিএ প্রধান অনীত থাপা।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) দ্বিতীয় উত্তরবঙ্গ সফর যে শুধুমাত্র ত্রাণ বিলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, তা স্পষ্ট। নির্বাচনের আগে পাহাড়ের রাজনীতিতেও এই সফরকে ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে। জিটিএ ও তৃণমূলের মধ্যে সম্পর্ক, পাহাড়ের নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ এবং আসন্ন ভোট— সবকিছু নিয়েই পাহাড়ের রাজনীতি এখন সরগরম।
রাজনৈতিক মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) এই সফর শুধু প্রশাসনিক নয়, তা একটি কৌশলগত পদক্ষেপও হতে পারে। সূত্রের খবর, সফরের ফাঁকে মুখ্যমন্ত্রী স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও করতে পারেন। পাহাড়ের রাজনীতি কোন পথে মোড় নেয়, এখন সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা দার্জিলিং।