শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে অনুষ্ঠিত ‘নর্থবেঙ্গল বিজনেস মিট ২০২৫’-এ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির বিভিন্ন বণিকসভার সদস্য ও শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন তিনি (Mamata Banerjee) । উদ্যোক্তারা তাঁদের সমস্যার কথা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সামনে তুলে ধরেন।
পুলিশ-জিএসটি-টোল: ব্যবসার পথে প্রতিবন্ধক
একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বক্তব্য রাখতে গিয়ে সরাসরি বলেন, “গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরোলেই সমস্যা। টোল ট্যাক্স, জিএসটি, পুলিশের হয়রানি— সব মিলিয়ে কস্টিং আকাশছোঁয়া হয়ে যাচ্ছে। ওরা যেখানে ১০০ টাকা খরচ করে, আমাদের ৫০০ টাকা দিতে হয়। এটা শুধু এই রাজ্যে নয়, গোটা দেশ জুড়ে সমস্যা।”
“পুলিশ যেন কোনও ট্যাক্স না নেয়”— মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা
এই বক্তব্যের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করে বলেন, “টোল ট্যাক্স ও জিএসটি তো কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায় পড়ে। রাজ্যের হলে আমি এখনই বলে দিতাম, রাজ্য কিছু নেবে না। তবে আমরা অনুরোধ করে দেখতে পারি, ছোট ব্যবসায়ীদের কেন ছাড় দেওয়া যাবে না।” এরপর তিনি আরও বলেন, “তবে পুলিশ যাতে কোনও ট্যাক্স না নেয়, সেটা দেখার দায়িত্ব পুলিশের। এটা আমি দেখতে বলব।”
পুরনো ক্ষোভ, নতুন হুঁশিয়ারি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রকাশ্যে অসন্তোষ দেখিয়েছেন। রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী হিসেবেও তিনি সময়-সময় নানা প্রশাসনিক মঞ্চে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা তোলাবাজির অভিযোগ সামনে এনেছেন। এবার শিল্পপতিদের সামনেই ফের সেই প্রসঙ্গ ঘুরে এল।
রাজনৈতিক ইঙ্গিত?
বিজনেস মিটে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। জিএসটি ও টোল ব্যবস্থাকে ‘ব্যবসার পথে বাধা’ বলেও তুলে ধরেন। রাজ্য যদি এই ব্যবস্থাপনায় প্রভাব ফেলতে পারত, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতেন বলেও জানান তিনি। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আগামী লোকসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য ব্যবসায়ী মহলে ‘রাজ্য সরকার সহমর্মী, কেন্দ্র উদাসীন’— এই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার কৌশল হতে পারে।