২২ দিন পর পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে অবশেষে মুক্তি পেলেন বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম সাউ (Mamata Banerjee)। বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ অমৃতসরের আর্টারি সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানের রেঞ্জার্স তাঁর হস্তান্তর করে ভারতের হাতে (Mamata Banerjee)। সঙ্গে সঙ্গেই খুশির হাওয়া হুগলির রিষড়ার সাউ পরিবারে (Mamata Banerjee)। আর সেই মুহূর্তেই বেজে উঠল ফোন—লাইন অপর প্রান্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)!
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার ভাই ভালো আছে। আমি সকালেই ফোন করেছিলাম।” স্ত্রী রজনী জানান, ফোন খারাপ থাকার কারণে তখন কথা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জানার পরপরই ফোন করেছিলাম। অনেক শুভেচ্ছা থাকল আপনাদের জন্য। এবার একটু হাসিমুখে থাকুন।”
পূর্ণমের পরিবারে এখন স্বস্তি ও আনন্দের আবহ। মিষ্টিমুখ চলছে, চোখে জল—কিন্তু এবার তা খুশির। পূর্ণমের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, বৃদ্ধ বাবা-মা এতদিন ছিলেন চরম উৎকণ্ঠায়। সেই সময়ও মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার ফোন করে ভরসা দিয়েছিলেন রজনীকে। সাহায্যের আশ্বাসও দেন। রজনীর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী সবসময় পাশে ছিলেন। বারবার বলতেন চিন্তা না করতে।”
পাশাপাশি রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও পূর্ণমের সুস্থ ফেরা নিয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন। বুধবার সেই আশ্বাস বাস্তবে রূপ নিল। বিএসএফ জানায়, পূর্ণম শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেও মানসিকভাবে কিছুটা বিধ্বস্ত।
২৩ এপ্রিল সীমান্ত পার হয়ে ভুলবশত পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন পূর্ণম। তারপর থেকে শুরু হয় এক অনিশ্চয়তা। দফায় দফায় বৈঠক, ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের পরেই পাক রেঞ্জার্স অবশেষে ভারতের জওয়ানকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
এদিন শুধু রিষড়া নয়, গোটা বাংলায় যেন নিঃশ্বাস পড়ল—‘ফিরেছে আমাদের পূর্ণম!