বীরভূম জেলা বহুবার উঠে এসেছে গরু ও কয়লা পাচার মামলার খবরে। অনুব্রত মণ্ডল থেকে শুরু করে একাধিক তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়েছে এই চাঞ্চল্যকর মামলায় (Mamata Banerjee)। এবার সেই বীরভূমেই প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) । সরাসরি অভিযোগ করলেন— আজও প্রশাসনের একাংশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাচারের কারবার চলছে, আর সেই কারসাজির পিছনে রয়েছে বিজেপির ছায়া।
বোলপুরে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শাসক দলের সাংসদ শতাব্দী রায়, বিধায়ক কাজল শেখ সহ একাধিক নেতৃত্ব, ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের পরিবারের সদস্যেরাও। জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তারাও সেখানে ছিলেন। আর ঠিক সেই মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) স্পষ্ট বার্তা দিলেন, “আমি এখনও মনে করি, এখানে গরু বা কয়লা পাচারে অন্য রাজনৈতিক দল যুক্ত। প্রশাসনের অনেকেই সেই কাজে মদত দিচ্ছেন। আমি থাকতে এসব বরদাস্ত করব না।”
এখানেই থামেননি মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) । নাম না করেই প্রশাসনের কর্তারাও পাচারকারীদের সঙ্গে ‘অঙ্ক কষে’ চলছে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। বলেন, “আপনারা যারা দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন, ভয় পাচ্ছেন বা ৫০-৫০ ভাগে কাজ করছেন— সাবধান হন। আমি থাকলে কোনও ৫০-৫০ হবে না। যারা করে খাচ্ছে, তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বরং যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের সতর্ক হতে হবে।”
মমতা (Mamata Banerjee) আরও দাবি করেন, প্রকৃতপক্ষে গরু-পাচারে যাঁরা জড়িত, তাঁরা বিজেপি ঘনিষ্ঠ। অথচ আঙুল তোলা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। বলেন, “অনেক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধেই অভিযোগ জমা পড়েছে। অথচ আমাদের দলকে দোষারোপ করা হচ্ছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।”
এই বক্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্কের ঝড় উঠতে চলেছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। একদিকে যেখানে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি বারবার বীরভূমে অভিযান চালাচ্ছে, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রশাসন ও বিরোধী দলের ভূমিকাকে নিয়ে আরও প্রশ্ন তুলল।