পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় ভোটার তালিকা সংশোধন অভিযান (SIR) শুরুর আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজ্য রাজনীতি। বীরভূমের বোলপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনে বলেন, রাজ্য প্রশাসনকে কিছু না জানিয়েই এক হাজার সরকারি কর্মীকে ট্রেনিংয়ের জন্য দিল্লি পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এবং দিল্লির নির্দেশকে কার্যত অগণতান্ত্রিক বলে কটাক্ষ করেন।
সোমবার বোলপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) স্পষ্ট জানান, “আমাকে, আমার মুখ্যসচিবকে কিছু না জানিয়ে এক হাজার কর্মীকে ট্রেনিংয়ের নামে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটা কেমন রীতি? কখনও এমন হয়েছে? যদি ভয় দেখাতে চান, ঘরে বসে থাকুন। ভয় দেখালে ভয় পাব না আমরা।”
সূত্রের খবর, আগামী অগস্ট মাসেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু হতে চলেছে SIR প্রক্রিয়া, অর্থাৎ সংবেদনশীল ভোটার চিহ্নিতকরণ অভিযান (Mamata Banerjee) । সেই উপলক্ষ্যে রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকদের জন্য প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। বিএলওদের (ব্লক লেভেল অফিসার) ট্রেনিং ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এতদিনে প্রথম মুখ খোলেন এবং জানান, রাজ্যকে না জানিয়েই কেন্দ্রীয় নির্দেশে এই কর্মসূচি চালানো হচ্ছে।
মমতার (Mamata Banerjee) হুঁশিয়ারি, এবার থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজ্য প্রশাসনকে জানাতে হবে। মুখ্যসচিবকে অবহিত না করে কোনও নির্দেশ কার্যকর করা চলবে না। তিনি বলেন, “ভোটার তালিকা তৈরি করতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে যেন হেনস্থা করা না হয়। চোখ কান খোলা রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
জেলাশাসকদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, “অনেক সময় দেখা যাচ্ছে ডিএম-রা খেয়ালই রাখছেন না। এটা চলতে পারে না। বাংলার মানুষ যারা বাংলা ভাষায় কথা বলেন, তাঁদেরই আজ হেনস্থা করা হচ্ছে। তাই সবার আগে সতর্ক হতে হবে। কেউ যেন অন্ধভাবে কোনও কেন্দ্রীয় নির্দেশ পালন না করেন।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পর রাজ্য-রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় কেন্দ্র ও রাজ্যের এই সংঘাত আরও প্রকট হয়ে উঠবে বলেই রাজনৈতিক মহলের অনুমান।