ফের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পুশব্যাক নিয়ে। রাজস্থানে কাজ করতে গিয়ে ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের (Maldah) এক শ্রমিককে জোর করে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হল—এমনটাই অভিযোগ উঠেছে মালদহ (Maldah) জেলার কালিয়াচকের বাসিন্দা আমির শেখের পরিবারের তরফে। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে পরিবার ও স্থানীয়রা।
অভিযোগ, প্রায় আড়াই থেকে তিন মাস আগে কাজের খোঁজে রাজস্থানে গিয়েছিলেন আমির শেখ (Maldah)। সেখানে তিনি স্থানীয় একটি নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, রাজস্থানের পুলিশ তাঁকে হঠাৎই বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে এবং দীর্ঘ প্রায় দু’মাস ধরে একটি ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখে। এরপর কোনও তদন্ত বা যাচাই-বাছাই ছাড়াই তাঁকে পশ্চিমবঙ্গে এনে, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ-এর সহায়তায় বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় পুশব্যাক করে দেওয়া হয় (Maldah)।
সবচেয়ে লজ্জাজনক ও হৃদয়বিদারক যে বিষয়টি সামনে এসেছে তা হল, আমির শেখ (Maldah) নিজেই বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে একটি ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেছেন, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেই ভিডিয়োতে তাঁকে অসহায়ভাবে বলতে শোনা যায়, কীভাবে তাঁকে কাঁটাতারের ওপারে জেসিবি দিয়ে তুলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এই ভিডিয়ো দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা-বাবা এবং অন্যান্য পরিবার-পরিজনেরা।
আমিরের (Maldah) পরিবারের দাবি, তাঁর আধার কার্ড ও পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও তাঁকে আটক করা হয়, যা পুরো ঘটনা আরও প্রশ্নের মুখে ফেলছে। প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যদিও ইতিমধ্যেই মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল আমিরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছে। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্যরাও। তাঁরা দ্রুত প্রশাসনের উচ্চস্তরে যোগাযোগ করে আমির শেখকে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছেন।
এই ঘটনাকে ঘিরে প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে আধার কার্ড থাকা একজন ভারতীয় নাগরিককে কোনও প্রক্রিয়া বা যাচাই ছাড়াই বিদেশে পাঠানো হল? বিএসএফ বা স্থানীয় প্রশাসন কেন কোনও স্তরে হস্তক্ষেপ করল না? এ ঘটনা কি নিছক ভুল, নাকি এর পেছনে রয়েছে আরও বড় কোনও গাফিলতি বা ষড়যন্ত্র?