মালদহের (Maldah) কালিয়াচকে দিনদুপুরে এক ব্যবসায়ীকে রাস্তার মাঝে বাইক থেকে টেনে নামিয়ে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সেই ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে এবং তা ভাইরাল হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে জেলা ব্যবসায়ী মহল। অভিযোগ, ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাসকে (Maldah) গাড়ি থেকে নামিয়ে রাস্তায় সবাইকে সামনে রেখেই মারধর করতে করতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। শুধু তাই নয়, পরে তাঁকে কাঁঠাল গাছে বেঁধে ফের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার (Maldah) হতেখানি বাঙালি পাড়া এলাকায়। অভিযুক্তের নাম জহুরুল খান, যিনি একসময় তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। বর্তমানে তিনি তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হলেও সমাজবিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ (Maldah) ।
ব্যবসায়ী রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, ২০২২ সালেও তাঁকে অপহরণ করেছিলেন জহুরুল। পুলিশি তৎপরতায় তখন তাঁকে মুর্শিদাবাদের সুতি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। সেই মামলায় জহুরুল খানকে গ্রেফতার করা হলেও সম্প্রতি তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে ফের সন্ত্রাস চালাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ।
ব্যবসায়ীর অভিযোগ (Maldah) , তাকে থানায় দায়ের করা অপহরণের মামলা প্রত্যাহার করতে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। পাশাপাশি পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাও চাওয়া হয়। টাকা না দেওয়ায় রাস্তায় হামলার শিকার হন তিনি। মারধরের সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়।
ঘটনার পর আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছে রহিমের পরিবার। তাঁরা এখন ঘরছাড়া।
এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স। সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ড পুলিশের ভূমিকার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, “এই ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মুখ্যমন্ত্রীকে লিখিত অভিযোগ জানানো হবে।”
রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে তরজা। বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “তৃণমূল দুষ্কৃতীতে ভর্তি। তোলা আদায়, জমি দখল, পুকুর ভরাট, এটাই এখন এদের রাজনীতি। ব্যবসায়ী থানায় অভিযোগ করার পরেও পুলিশ নিষ্ক্রিয়, এটাই প্রমাণ করে তারা কোন পক্ষ নিচ্ছে।”
এই অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র আশিস কুন্ড বলেন, “তৃণমূল কখনও আইনবিরোধী কাজ সমর্থন করে না। যিনি দোষী, পুলিশ নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে। বিজেপি এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে জড়িয়ে অযথা রাজনীতি করছে।”
সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসার পর জেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। ব্যবসায়ী মহলের মধ্যে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। এখন দেখার, প্রশাসন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়।