জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিবাদের জেরে রীতিমতো রক্তাক্ত রূপ নিল মালদহের পিয়াসবাড়ি গ্রামে (Maldah)। এক মহিলা, যাঁর স্বপ্ন ছিল শান্তিপূর্ণ সংসার জীবন, শেষ পর্যন্ত প্রাণ হারালেন মামাতো ভাইয়ের হাতে। তাও আবার গলা কেটে, নির্মমভাবে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার সাক্ষী থাকল ইংরেজবাজার থানার অন্তর্গত মহদিপুরের পিয়াসবাড়ি গ্রাম (Maldah)।
মৃতার নাম রীতা মণ্ডল, বয়স মাত্র ৩০ বছর (Maldah)। জানা গিয়েছে, প্রায় দুই বছর আগে রীতার বিয়ে হয়েছিল আসানসোলের দুর্গাপুরের বাসিন্দা রণজিৎ দাসের সঙ্গে। এক মাস আগে নিজের বাবার বাড়ি এসেছিলেন রীতা। কিন্তু তাঁকে হয়তো জানা ছিল না, এই ফেরাই তাঁর জীবনের শেষ যাত্রা হয়ে উঠবে (Maldah)।
দাদুর জমি নিয়ে মামাতো ভাইদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল আইনি বিবাদ। বুধবার সেই জমিতে বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে রীতার সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়ায় তাঁর মামাতো ভাই টিঙ্কু মণ্ডল (Maldah)।
অভিযোগ, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রীতার উপর হঠাৎই ধারাল অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে টিঙ্কু। একের পর এক কোপে গলা কেটে দেয় রীতার। রক্তাক্ত রীতা মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। আতঙ্কে ও ক্ষোভে ফেটে পড়ে গোটা এলাকা।
খবর পেয়ে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত টিঙ্কু মণ্ডল ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তাঁকে খুঁজে বের করতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে এলাকায় চাপা উত্তেজনা। আতঙ্ক ছড়িয়েছে প্রতিবেশীদের মধ্যে।
এখন উঠছে একাধিক প্রশ্ন—জমি বিবাদ নিয়ে আগে থেকেই মামলা চলছিল, তাহলে আগে থেকে কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হল না কেন? এমন নৃশংস খুন কি ঠেকানো যেত না?