চাঞ্চল্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে। আইনজীবীর চেম্বার থেকে উদ্ধার হয়েছে এক তরুণী আইনের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ (Kakdwip Death)। মৃতার নাম সোনিয়া হালদার (২১), বাড়ি কাকদ্বীপের গান্ধীনগর এলাকায় (Kakdwip Death)। বুধবার রাতের এই ঘটনার পর থেকেই থমথমে পরিবেশ গোটা এলাকায়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে, তবে আত্মহত্যা না খুন— তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন (Kakdwip Death)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম বর্ষের আইন পড়ুয়া সোনিয়া কাকদ্বীপ (Kakdwip Death) আদালতের আইনজীবী শেখ মানোয়ার আলমের চেম্বারে প্র্যাকটিস করতেন। প্রতিদিনের মতো বুধবারও তিনি সকালে কলেজে যান এবং বিকেলে চেম্বারে পৌঁছন। তারপর রাতে পরিবারের কাছে খবর আসে— আইনজীবীর অফিসে সোনিয়ার ঝুলন্ত মৃতদেহ মিলেছে (Kakdwip Death)।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। সূত্রের খবর, সোনিয়ার ব্যাগ থেকে পাওয়া গেছে একটি প্রেমপত্র (Kakdwip Death)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ অনুমান করছে, ওই আইনজীবীর সঙ্গে সোনিয়ার একটি প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকেই কি এমন মর্মান্তিক পরিণতি? নাকি এই মৃত্যু কোনওভাবে সাজানো?— সেই প্রশ্নে জল্পনা তুঙ্গে।
সোনিয়ার পরিবারের সদস্যরা কিন্তু ঘটনার পেছনে অন্য রহস্যের ইঙ্গিত দিচ্ছেন। তাদের দাবি, “এটা আত্মহত্যা নয়, খুন।” ইতিমধ্যেই ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কাকদ্বীপ থানায়। পুলিশ জানিয়েছে, সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, “প্রতিদিন মেয়েটিকে চেম্বারে যাতায়াত করতে দেখা যেত। হঠাৎ এমন ঘটনা ঘটবে কেউ ভাবতে পারেনি।” পুরো কাকদ্বীপ জুড়েই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এই মৃত্যু। প্রেম, প্রতারণা না কোনও চাপ— ঠিক কী ঘটেছিল ওই দিন বিকেলে, তা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং মোবাইল ফোনের কল রেকর্ডই এখন এই মৃত্যুর তদন্তের মূল চাবিকাঠি বলে জানিয়েছে পুলিশ।











