সাতদিন ধরে পুলিশ-অভিযুক্ত টানাপোড়েন চলার পর অবশেষে গ্রেফতার করা হল কৃষ্ণনগরের ছাত্রী খুনের (Krishnanagar Murder) মূল অভিযুক্ত দেশরাজ সিংকে। পুলিশ সূত্রে খবর, সে নেপালে পালিয়ে গিয়েছিল। কোতোয়ালি থানার তদন্তকারী দল সীমান্ত পেরিয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে পাকড়াও করে (Krishnanagar Murder) ।
প্রথম থেকেই পুলিশের অনুমান ছিল, দেশরাজ খুনের (Krishnanagar Murder) পর উত্তরপ্রদেশের দিকে পালিয়েছে। ইশিতার পরিবারের দেওয়া বয়ানেও সেই সূত্র মিলেছিল। আসলে, খুনের পরই সে সোজা কৃষ্ণনগর থেকে উত্তরপ্রদেশে গিয়ে গা ঢাকা দেয়। পরে সীমান্ত টপকে পালায় নেপালে। তবে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে— কে সাহায্য করেছিল দেশরাজকে (Krishnanagar Murder) পড়শি দেশে পালাতে?
এর আগে শনিবার গুজরাট থেকে গ্রেফতার করা হয় দেশরাজের মামা কুলদীপ সিংকে। তার একদিন পরই ধরা পড়ল দেশরাজ। ফলে তদন্তকারীরা এখন খতিয়ে দেখছেন, মামাই কি তাকে আশ্রয় দিয়েছিল বা নেপাল পালাতে সাহায্য করেছিল? যদিও এ নিয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু বলেনি পুলিশ।
ইতিমধ্যেই দেশরাজকে বাংলায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাজ্যে এনে তাকে আদালতে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট দুপুরে কৃষ্ণনগরের নিজের বাড়িতে ঢুকে ইশিতাকে মাথায় টানা তিনবার গুলি করে খুন করে দেশরাজ। জানা গিয়েছে, দু’জনের মধ্যে আগে থেকেই পরিচয় ছিল। দেশরাজ উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন ধরে উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়ায় মায়ের সঙ্গে থাকত। তার বাবা বিএসএফ-এর জওয়ান।
পুলিশি সূত্র বলছে, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়াই এই খুনের আসল কারণ। ‘ব্যর্থ প্রেমিক’ দেশরাজই শীতল মাথায় ইশিতাকে খুনের ছক কষেছিল।